শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীর খাল

ঘোষণা নয় কাজের কাজ করুন

রাজধানীর খালগুলো পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু প্রাকৃতিক এই জলাধারগুলোর সিংহভাগ অপদখল আর অব্যবস্থাপনায় অস্তিত্ব হারিয়েছে। যেগুলো টিকে আছে সেগুলোরও যায় যায় অবস্থা। ফলে দেড় কোটি মানুষের এই মহানগরীতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে ওঠে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে ২৬টি খাল হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা। এরপর শুরু হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান। কিন্তু গত তিন বছর খাল উদ্ধারের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্তারা শুধু ঘোষণাই দিয়েছেন, বাস্তবে সে ঘোষণা আলোর দেখা পায়নি। শুধু তা-ই নয়, খালের সীমানাও নির্ধারণ করতে পারেনি সংস্থা দুটি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চারটি খাল সংস্কারের একটি প্রকল্প নিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে কাটাসুর, হাজারীবাগ, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, আবদুল্লাহপুর, রামচন্দ্রপুর, বাউনিয়া, দ্বিগুণ, দিয়াবাড়ী, ধোলাইখাল, রায়েরবাজার, বাইশটেকি ও শাহজাহানপুর খাল। আর দক্ষিণ সিটিতে রয়েছে জিরানী, মান্ডা, মেরাদিয়া, গজারিয়া, কসাইবাড়ী, শাহজাদপুর, সুতিভোলা, ডুমনি, বোয়ালিয়া, রামপুরা, গোবিন্দপুর, সেগুনবাগিচা ও খিলগাঁও-বাসাবো খাল।

গত তিন বছরে ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই সিটি করপোরেশন খালগুলো অপদখলমুক্ত করতে পারেনি। রাজধানীর পানি নিষ্কাশনে সেগুলো কার্যত কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে অবদান রাখছে মশক উৎপাদনে। রাজধানীর পানি নিষ্কাশন শুধু নয়, সুস্থ পরিবেশের স্বার্থে খাল-লেকসহ সব জলাধার যাতে টিকে থাকে সে উদ্যোগ নিতে হবে। দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে আসার পর রাজধানীর ২৬টি খালের অবস্থা যদি আগের মতোই থাকে তবে তাতে নগরবাসীর দ্বারা নির্বাচিত স্থানীয় সরকার হিসেবে সংশ্লিষ্টদের দায়বোধ ও মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। যা হওয়া উচিত কি না ভেবে দেখা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর