শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

চাকরিতে ডোপ টেস্ট

মাদক ঠেকাতে অবদান রাখবে

মাদকের বিরুদ্ধে এযাবৎ প্রতিটি সরকারের লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। যে লড়াই দেখে মনে হয়েছে দেশকে মাদকমুক্ত করতে কর্তাব্যক্তিরা যে পণ করেছেন তার সুফল শিগগিরই অনুভূত হবে। কিন্তু আসল কাজে হাত না দেওয়ায় তা বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরোতে পরিণত হয়েছে। বছরের পর বছর জল্পনা-কল্পনার পর সরকার মাদক নিরুৎসাহিত করতে সঠিক পথ বেছে নিয়েছে। ভবিষ্যতে মাদক গ্রহণ করলে মিলবে না আর চাকরি নামের ‘সোনার হরিণ’। পাওয়া যাবে না ড্রাইভিং লাইসেন্স। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হলেও মাদক থেকে থাকতে হবে দূরে। চাকরিরতরা মাদকে জড়ালে তাদের জন্যও রয়েছে দুঃসংবাদ। ডোপ টেস্টে মাদকের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে নেমে আসবে বরখাস্তের খড়গ। দেশে মাদকের বিস্তার রোধে এমনই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বিধিমালাটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে, সব প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হবে ডোপ টেস্ট। এমন একসময় এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে যখন দেশে ভয়াবহ হয়ে উঠছে মাদকের বিস্তার। কিছুদিন পরপর নতুন নতুন মাদক ঢুকছে। তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর প্রভাবে পারিবারিক কলহ, চুরি, ছিনতাই এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো অপরাধও বাড়ছে। এ জন্যই চাকরিসহ সরকারের বিভিন্ন সেবা পেতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ টেস্টের মাধ্যমে মানবদেহের জৈবিক কিছু নমুনা যেমন- মূত্র, রক্ত, চুল, ঘাম, শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস, মুখের লালা অথবা মানবদেহের যে কোনো অঙ্গ বা অঙ্গের অংশবিশেষ বা দেহ-তরলের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে মাদকের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি যাচাই করা হবে। সরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসাবে- বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ লাখ। অথচ মাদক নির্মূলে ২০১৮ সালে সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় মাদকাসক্তের সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ লাখ।

মাদক আগ্রাসন কীভাবে বাড়ছে এটি তারই প্রমাণ। আমরা আশা করব মাদক নিরোধের খসড়া বিধিমালাটি অতি দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে। দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করা হবে মাদক থেকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর