শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক দফায় দফারফা নাকি সমঝোতা

আলম রায়হান

এক দফায় দফারফা নাকি সমঝোতা

দেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নির্বাচন। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপ। রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা এখন মরি-বাঁচি পর্যায়ে। এদিকে সংবিধান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী, ভোটের বাকি মাত্র কয়েক মাস। এদিকে নির্বাচন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিপরীত অবস্থানে। নির্বাচন কেমন হবে, কীভাবে হবে, বিএনপি অংশ নেবে কি না এ নিয়ে রাজনীতিতে নানান আশঙ্কা, সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন। কেবল সাধারণ মানুষ নয়, বিদেশিরাও এবারের নির্বাচন নিয়ে বেশ তৎপর। ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে দুই পক্ষের মধ্যে চ্যালেঞ্জ-পাল্টা চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আর সবকিছু ছাপিয়ে আবারও আলোচনায় চলে এসেছে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা। নির্বাচনের চেয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের গ্রহণযোগ্যতাই যেন এখন আলোচনার প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানান টানাপোড়েন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু কী হবে সেই সরকারের রূপরেখা? এদিকে বাংলাদেশের জন্য একটি সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্য। এটা মুক্তচিন্তার সবাই অনুভব করছেন। কিন্তু এটি সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুধাবন করতে হবে। তা না হলে হয়তো বিপত্তি অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হবে নাকি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হবে- এ প্রশ্ন জটিল রূপ ধারণ করেছে। চূড়ান্ত সংঘাতে ‘এসপার ওসপার’ কিছু একটা হোক অথবা আলাপ-আলোচনা করে ‘কিছু ধরে কিছু ছেড়ে’ একটা আপাত সমাধান- কী হবে তা মোটেই পরিষ্কার নয়। তবে এ দুটির একটি অনিবার্য। এ ক্ষেত্রে সংঘাত সহিংসতা এড়িয়ে আপাত সমাধানের জন্য সংলাপের বিকল্প নেই বলে মনে করা হচ্ছে। সংলাপে বিবদমান পক্ষগুলোর অংশগ্রহণ প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হতে পারে মধ্যস্থতাকারীরও।

রাজধানী ঢাকায় ১২ জুলাই একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি সমাবেশে এক দফা ঘোষণা করেছে। ঘোষিত এই ‘এক দফা’ দুই মেরুতে দুই পাহাড়ের মতো। যা কাছাকাছি আসার নয়। এক সরল রেখায় আসা তো কল্পনারও বাইরে। দেশ থেকে ‘অপশক্তি’ বিতাড়িত করার ডাক দিয়ে ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন’ অনুষ্ঠানের এক দফা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি ঘোষণা করেছে ‘সরকার পতনের’ এক দফা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছাড়া নির্বাচন নয়- ঢাকার শান্তি সমাবেশ থেকে এই এক দফা ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নেতারা বলেছেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। প্রায় একই সময় বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দিতে আসবে, তাদের প্রতিহত করা হবে। বিএনপির সঙ্গে আপস করা হবে না। যে কোনো পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকতে হবে। নির্বাচনী মাঠ ছাড়া যাবে না। সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আওয়ামী লীগ খেলতে নামলে কোনো অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান, টানা কর্মসূচি চলবে। শোকের মাসে, শোকের কর্মসূচির পাশাপাশি জনসংযোগও চলবে। এদিকে কাছাকাছি মঞ্চ থেকে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ থেকে আর কোনো দাবি নেই, দাবি একটাই- সরকারের পদত্যাগ। আর কোনো সমাধান নেই, সমাধান একটিই তা হলো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এ সময় মির্জা ফখরুল ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে এবং ১৯ জুলাই শুধু ঢাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ পদযাত্রা নিয়ে পদে পদে আশঙ্কা ঘনীভূত হয়। বিএনপির সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমাদের রক্ত নিলে আমরা পাল্টা রক্ত নেব। আমাদের ওপর একটা আঘাত এলে, পাল্টা দুইটা আঘাত করব। গণতন্ত্রের যুদ্ধে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে যা করবেন, তা-ই শুদ্ধ।’ তার কথা নিষ্ঠুর পরিহাসের মতো মনে হতে পারে। এদিকে বিশ্ব ইতিহাস এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে রক্তপাত আর জীবন নাশ ও নিষ্ঠুরতা এক ধরনের বাস্তবতা এবং এ ক্ষেত্রে মাত্র একটি কবর রচিত হয়। তৈরি থাকে কেবল পরাজিতকে ধারণ করার জন্য। আর এই জয়-পরাজয়ের পেছনে থাকে অনেক খেলা এবং মাঝখানে হয় অনেক প্রাণের বলিদান। যে লড়াই আবার দেশেরও সর্বনাশ করে দিতে পারে। সামনে কী হবে তা এখনই বলা কঠিন। তবে আলামত সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত করে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে এখানেই এবং এটি তৈরি হয়েছে, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। অন্তত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে গ্রহণযোগ্য নয় বলেই যে ঘটবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বাংলাদেশের ইতিহাস এমনটাই বলে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে, অর্ধশত বছর পেরিয়েও ক্ষমতার রদবদলে নির্বাচন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। বরং নির্বাচন পরিণত হয়েছে এক ধরনের প্রহসনে। মোদ্দা কথা, স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি, বরং উল্টোটা হয়েছে। যেন উল্টো রথ। চলমান ধারায় কে হবেন পরাজিত কেবল সেটিই হচ্ছে দেখার বিষয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংসতার মধ্য দিয়ে নগ্ন যে ধারার সূচনা হয়েছে তা দগদগে ঘায়ের মতো বিরাজমান ছিল ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। এরপর যা আশা করা হয়েছিল তার কিছুটা প্রতিফলন ঘটে ’৯১-এর সংসদ নির্বাচনে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনও উতরে যায়। এরপর নির্বাচনী রাজনীতি অদৃশ্য কালো হাত থাবা বিস্তার করেছে। এমনকি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারও হয়ে ওঠে কাউকে নগ্নভাবে পক্ষপাতিত্ব করার ক্রীড়নকে। এ ক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে গেছেন এবং প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে কোনো নিরপেক্ষ সরকার নয়। এ বোধকে আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের সরকার ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে। অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলে কাউকে ক্ষমতায় বসানো অথবা নিজে ক্ষমতা দখলের বাহানা মাত্র। হয়তো এ উদাহরণ, এসব বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়েই উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। কিন্তু এরপর যা ঘটেছে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তা অবাক বিস্ময়ে দেখছে দেশবাসী। তা নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর স্বর্ণদ্বার খুলে দিয়েছে। একই কারণে ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের ক্রমাগত জ্ঞান বিতরণের অনুষঙ্গ হিসেবে ২৪ মে চেপেছে আমেরিকার ভিসানীতি। পরে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশবাসী দেখল, বিদেশিদের দাপুটে ছোটাছুটি। আর এটিকে জাতির জন্য যতই অপমানজনক বলে বিবেচনা করা হোক না কেন, একটি মহল এটিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। যেমন গ্রহণ করেছিল সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকেও। আর সেই সরকার অনিবার্য হয়ে উঠেছিল বিএনপির খামখেয়ালির কারণে। পশ্চিমা দেশগুলোর দূতিয়ালিতে আর যাই হোক, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মহড়া আর হবে না- এমনটি ধরে নিয়েছে সাধারণ মানুষ। আবার নির্বাচন রুখে দেওয়ার নামে ২০১৩-১৪ সালের মতো নারকীয় তাণ্ডবের ঘটনাও হয়তো ঘটবে না। মোদ্দা কথা- যদি আগামী নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হয় তাহলে তাতে দেশবাসীর ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ থাকবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি পুরনো দাবিতে গো ধরে বসে আছে! আর এ কারণেই গুরুত্ব বেড়েছে বিদেশিদের। একই কারণে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে জামায়াত। এই এক আশঙ্কার দিক।

এদিকে ক্ষমতার লড়াইয়ে দুই প্রতিপক্ষের দুই মঞ্চ থেকে বুলন্দ আওয়াজ দেশের মানুষকে আশঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। তবে আপাতত আশার কথা হচ্ছে, ১২ জুলাই দুই তরফের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার বেলুন নিরাপদে আকাশে উড়ে গেছে। জনআশঙ্কার সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি এখানেই শেষ নয় তা নিশ্চিতভাবে বলা চলে। কারণ দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে- আমাদের রাজনীতির কুশীলবরা নিজের এবং গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পেরেছেন বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় না। এ কারণে ক্ষমতার বাইরে থাকলে যাত্রাগানের বিবেক চরিত্রে অবতীর্ণ হন। আর ক্ষমতার ঘরে বা বারান্দায় থাকাকালে বলেন অন্য কথা। অনেকে আবার মৌনব্রত পালন করেন। মুখে কুলুপ আঁটা। তারা ভুলে যান, ক্ষমতা বলয়ের বাইরেও রাজনীতি আছে, মানুষের ভাবনা আছে। এ অবস্থায় দেশের মানুষ প্রতিদিনই ক্ষমতাসীন ও বিরোধী নেতাদের মুখে বাহাস শোনে। পালাগানের মতো। এক পক্ষ তীব্র ভাষায় অপর পক্ষের মুণ্ডপাত করেন। দুই পক্ষের এ পাল্টাপাল্টিতে জনগণের সমস্যা ও সংকট আড়ালে পড়ে যায়। কিন্তু চলে যায় না। থেকে যায় ক্যান্সার-টিউমারের মতো। এ ধারায় রাজনীতি পরিণত হয়েছে আত্মউন্নতির হাতিয়ারে। এভাবেই রাজনীতি উল্টোপথে চলে আজকের সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে দেশের রাজনীতি। ফলে সংকটে দেশ। উল্টোপথে চলা আমাদের দেশের রাজনীতি যে খাদে পড়েছে, যা থেকে বেরিয়ে আসার আপাতত লক্ষণ দৃশ্যমান নয়। বরং আশঙ্কার ক্যানভাস সম্প্রসারিত হচ্ছে।

পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, যদি সমঝোতার রাজনৈতিক সমাধান না আসে তাহলে তা হবে খুবই দুঃখজনক। এবং হতে পারে ভয়ংকরও। রাজপথে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে গেলে সংঘাত-সহিংসতা অনিবার্য। ফলে উচিত হবে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে পথ বের করা। এ ক্ষেত্রে সবাইকে ছাড় দিতে হবে। অনড় অবস্থানে কোনো সমাধান আসবে বলে মনে হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে জনআকাক্সক্ষা প্রবল। পাশাপাশি এ উসিলায় বিদেশি চাপ প্রবল। এ চাপের ভিতরে-বাইরে ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকার ভূরাজনীতিও সক্রিয়। তবে এখানেই শেষ নয়। চলতি জুলাই মাস বিদেশিদের যে মহড়া হয়ে গেল তাতে আমজনতার কাছেও স্পষ্ট, সামনের মাসগুলো বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নেই। বিদেশিদের তৎপরতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকেই জানেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বেড়েছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশিরা বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের অনেকের এখানে বিনিয়োগ আছে। আরও আছে অনেকের হিসাবনিকাশ। তাই তারা যার যার অবস্থান থেকে নিজেকে প্রকাশ করছেন। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তা মনে করার কারণ নেই। বরং অনেক ক্ষেত্রেই তা আসলে ‘বগলে ইট, মুখে শেখ ফরিদ’ প্রবচনের সঙ্গে সমান্তরাল বিরাজমান। যে যার স্বার্থ বিবেচনায় রেখেই কৌশলী চাপ দিচ্ছে।

নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আলামতও তাই বলে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরাই সমাধানের পথে না যায় তাহলে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে- আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ‘এক দফা’কেন্দ্রিক মুখোমুখি অবস্থান দেশের দফারফা করে নাকি একটি সমঝোতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। মনে রাখা প্রয়োজন, রাজনীতিতে একটা ভুল সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আর বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো যা করে তা সঠিক মনে করেই করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেবল নিজের লাভের চশমা দিয়ে দেখা হয়। ফলে ঘটে যত বিপত্তি। আর দফারফা হয় দেশ ও জনগণের। এবং পিঠা ভাগের ‘মহান দায়িত্ব’ নেয় গল্পের বানর এবং অভিনয় করে ত্রাণকর্তার ভূমিকায়!

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক

সর্বশেষ খবর