শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ

ডাবল লাইন যাতায়াতের সময় কমাবে

ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল রেললাইন অবশেষে বাস্তবে রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের উদ্বোধন করেছেন। প্রকল্পটি উদ্বোধনের ফলে এখন থেকে মাত্র চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া সম্ভব হবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগ সহজ হওয়ায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে। রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রেলপথের ৩২১ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪৯ কিলোমিটার আগে থেকেই ডাবল লাইন ছিল। কিন্তু লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার রেলপথ সিঙ্গেল লাইনের হওয়ায় যাতায়াতে সময় ক্ষেপণ হতো। যে কারণে এটি ডাবল লাইনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নানা কারণে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে প্রকল্পের কাজ শেষে গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন ডাবল লাইনে চলাচল শুরু হয়েছে। এর ফলে দেশের প্রধান দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ আগের চেয়ে সহজ হবে। স্মর্তব্য, ২০১৫ সালে লাকসাম-চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার ডাবল লাইন এবং ২০১৬ সালে টঙ্গী-ভৈরব পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার রেলপথ ডাবল লাইন চালু করা হয়। এর আগে থেকেই চট্টগ্রাম-চিনকি আস্তানা এবং টঙ্গী-ঢাকা পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মিত ছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। লাকসাম স্টেশনে রেলমন্ত্রী উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শতভাগ ডাবল লাইন হয়ে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মাধ্যমে আগের চেয়ে দ্বিগুণ ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে। স্বাভাবিকভাবেই সড়কপথের ওপর নির্ভর কমবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুট বাংলাদেশ রেলওয়ের সবচেয়ে লাভজনক রুট বলে বিবেচিত হবে। যাত্রীরা একই দিন এক নগরী থেকে আরেক নগরীতে এসে কাজ শেষে ফিরতে পারবেন। বাংলাদেশ রেলওয়েকে লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা আশা করব- রেলপথে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ্য করতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর