শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আন্তবাণিজ্যের সুযোগ

সার্ক দেশগুলোকে উদার হতে হবে

দক্ষিণ এশিয়ায় বাস করে পৃথিবীর এক-চতুর্থাংশ মানুষ। একবিংশ শতাব্দীতে এসে দ্রুত এগোচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ। এক সময়ের দরিদ্র দেশ ভারত আগামী এক যুগের মধ্যে জাপানকে হটিয়ে পৃথিবীর তৃতীয় অর্থনীতিতে পরিণত হবে। মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাংলাদেশ উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে গত দুই দশক ধরে রূপকথার ফিনিক্স পাখিকেও হার মানাতে চলেছে। হতদরিদ্র অবস্থা থেকে ইতোমধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। অর্ধ শতাব্দী পর বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর কাতারে ঠাঁই পাবে এমন বিশ্লেষণ বিশ্বসেরা বিভিন্ন সংস্থার। দক্ষিণ এশিয়া বিশ্ব পরিসরে দ্রুত এগোলেও অনুদার মনোভাবের জন্য নিজেদের মধ্যে আন্তবাণিজ্যের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। বিশ্বব্যাংকের মতে, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত এবং নেপাল নিজেদের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে আনুমানিক ১৭ বিলিয়ন ডলার মূলধন সাশ্রয় করতে পারে। পরিবহন ও সেবার উন্নতির মাধ্যমে ওইসিডি দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় কনটেইনার চলাচলের জন্য ৫১ শতাংশের বেশি খরচ কমাতে পারে। সার্কভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ১৯৯৩ সালে সাপটা চুক্তি করে, যা ২০০৬ সালে দক্ষিণ এশীয় মুক্তবাণিজ্য এলাকা বা সাফটায় রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-শ্রীলঙ্কা, ভারত-ভুটান এবং পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা এই তিনটি মুক্তবাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপালকে নিয়ে ২০১৫ সালে বিবিআইএন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আরেকটি উদ্যোগ। এত কিছুর পরও দক্ষিণ এশিয়ার আন্তআঞ্চলিক বাণিজ্য সম্ভাবনা অনেক কম। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য আনুমানিক ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রবাহের মাত্র ৫ শতাংশ। আন্তবাণিজ্যের অযুত সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে না লাগানো দুর্ভাগ্যজনক। এক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর