শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

নকল ভেজালের দৌরাত্ম্য

অপরাধ দমনে চাই কড়া আইন

বাংলাদেশকে নকল ভেজালের অভয়ারণ্য বললেও খুব একটা ভুল হবে না। এমন কোনো পণ্য পাওয়া যায় না যেখানে নকল ভেজালের দৌরাত্ম্য নেই। দেশে নকল ভেজালবিরোধী আইন থাকলেও তা অপরাধীদের মনে ভয় ঢোকাতে পারছে না। অপরাধী চক্রের সদস্যরা বারবার সাজা পাওয়ার পরও জড়িত হচ্ছে একই ধরনের অপরাধে। নকল ভেজালবিরোধী অভিযানে যে লঘু সাজা দেওয়া হয় তা গ্রাহ্য করছে না অপরাধীরা। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নকল পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কারখানাগুলোতে নকল পণ্যও পাওয়া যায়। ফলে তাদের সতর্ক করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, খিলগাঁও ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকৃত এলাকায় অনুমোদনহীন নকল বৈদ্যুতিক তার, ডিটারজেন্ট, রং, প্রসাধনী ও ভেজাল আয়ুর্বেদিক দ্রব্য মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যার মধ্যে আল্ট্রাটেক হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে ১০ লাখ টাকা, তৃপ্তি আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানাকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আশা কসমেটিক্সকে ১ লাখ টাকা, মেসার্স কহিনুর ক্যাবলসকে ১ লাখ টাকা, তিতাস ক্যাবলসকে ২ লাখ টাকা ও হাবিব কনজিউমার প্রোডাক্টসকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান জরিমানার টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সে প্রতিষ্ঠানের ৫ জনকে ৬০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দেশে নকল ভেজাল এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে যে এর ভিড়ে আসল খুঁজে পাওয়া ভার। নকল বৈদ্যুতিক তার ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে মানুষ। দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও ঘটছে। নকল প্রসাধন সামগ্রী চর্মরোগসহ ত্বকের সমূহ সর্বনাশ ঘটাচ্ছে। এসব অপরাধের ইতি ঘটাতে হলে আরও কড়া আইন প্রণয়নের কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর