সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

গভীর সমুদ্রবন্দর

পাল্টে দেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি

মহেশখালী ছিল অপরাধের অভয়ারণ্য। লবণ চাষ আর মাছ ধরা ছিল বাসিন্দাদের একমাত্র পেশা। এ দ্বীপের দুর্গম এলাকায় তৈরি হতো আগ্নেয়াস্ত্র। সংঘবদ্ধ জলদস্যু ও ডাকাতদের আস্তানা হিসেবেও ব্যবহৃত হতো এ দ্বীপ। সে দ্বীপ অচিরেই পরিণত হতে যাচ্ছে অযুত সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসেবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নির্মিত হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। যে বন্দর পাল্টে দেবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে। দেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাওয়া মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের চূড়ান্ত নির্মাণকাজ শুরু হবে আগামী বছরের শুরুতে। এরই মধ্যে সিভিল ওয়ার্কস ফর পোর্ট কনস্ট্রাকশন, কার্গো হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট টিওএস অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেম টাগ বোট, সার্ভে বোট এবং পাইলট বোট ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গভীর এ সমুদ্রবন্দর পুরোদমে চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমবে ৩০ শতাংশ। আমদানি-রপ্তানির সময় কমবে ১০ থেকে ১৪ দিন। যা ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, ২০২৬ সালের মধ্যেই পুরোদমে চালু হবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। গভীর সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু না হলেও এরই মধ্যে কয়লা নিয়ে জাহাজ নোঙর শুরু হয়েছে মাতারবাড়ীতে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের যন্ত্রপাতি নিয়ে অন্যান্য জাহাজও নোঙর করবে খুব শিগগিরই। কক্সবাজারের মহেশখালীর বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় ১৪০০ একর লবণভূমিতে গড়ে উঠছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর। জেলা প্রশাসন প্রথম দফায় ৪০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরও ১ হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জরিপের কাজ চলছে, যা বন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্যে গভীর সমুদ্রবন্দরে যাতে নির্বিঘ্নে ১৬ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ ভিড়তে পারে সে জন্য তৈরি করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল। গভীর সমুদ্রবন্দর দেশের ক্রমবর্ধমান আমদানি-রপ্তানি চাহিদা মেটাবে। পুরো মহেশখালীকে পরিণত করবে বহুমুখী কর্মযজ্ঞের কেন্দ্র হিসেবে। এ স্বপ্ন পূরণে বিশ্বমন্দার মধ্যেও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে গভীর বন্দরের কার্যক্রম।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর