সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে বিদেশি কর্মজীবী

ওদের বিকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত রেমিট্যান্স আয়। বলা যায়, রেমিট্যান্স আয় দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরার ভূমিকা পালন করছে। গত দুই যুগে একের পর এক বিশ্বমন্দার মধ্যেও টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ১ কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানেও ভূমিকা রেখেছে বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি খাত। এটি মুদ্রার এক পিঠ। অন্য পিঠ হলো, দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত যুবক-যুবতী বেকারত্বের ঘানি টানলেও বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিদেশি কর্মজীবীরা সাড়ে ১৪০০ কোটি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে আড়াই লাখ বিদেশি কাজ করছেন বাংলাদেশে। এর মধ্যে বৈধভাবে কাজে নিযুক্ত বিদেশিরা ২০২২ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৪০০ কোটি টাকা। বিশ্লেষকদের মতে, বিদেশে কর্মজীবীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ আরও বেশি হবে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের তথ্যানুসারে, এক বছর আগের তুলনায় রেমিট্যান্সের বহিঃপ্রবাহ ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা ১০ কোটি ডলার নিজ দেশে পাঠিয়েছিলেন। ২০২২ সালে এসে তাদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭০ লাখ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশ থেকে বিদেশিদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে বিদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১৯ সালে ছিল ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর ২০১৮ সালে ছিল ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার।  বিশ্বব্যাংকের হিসাব প্রণীত হয়েছে ব্যাংকিং চ্যানেলে যারা রেমিট্যান্স নিয়ে যান তাদের ওপর ভিত্তি করে। যারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করছেন তারা হিসাবের বাইরে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বেকার। বিদেশিরা যেসব সেক্টরে কাজ করছেন সেসব ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে শত শত কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব হবে। কমে যাবে বেকারত্বের হার। এ বিষয়ে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে তৎপর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর