বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকা-রোম সুসম্পর্ক

দুই দেশই উপকৃত হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালি সফরকালে বিদ্যুৎ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকে ইতালিতে বৈধভাবে বাংলাদেশি কর্মজীবীদের অভিবাসনের বিষয়ে উভয় পক্ষ অভিন্ন মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের কর্মীরা ইতালিতে খুব ভালো কাজ করছেন। তাদের যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্যতাও আছে। তবে তারা অবৈধ শ্রমিক চান না। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পালাজ্জো চিগিতে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান জর্জিয়া মেলোনি। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে অনথিভুক্ত প্রবাসী বাংলাদেশি, দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, নথিভুক্ত ও অনথিভুক্ত উভয় ধরনের বাংলাদেশি দুই দেশের কল্যাণে কাজ করছেন। বাংলাদেশও অবৈধ অভিবাসনকে নিরুৎসাহ করে এবং তিনি অবৈধ অভিবাসনের প্রতি শূন্য সহনশীল নীতিতে বিশ্বাসী। তাঁর সরকার বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাইটেক পার্কের উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ইতালিকে বিশেষ অঞ্চল ও পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বলেন, ইতালি চাইলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যবস্থা করা হবে। ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি আলোচনা হয় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন দেওয়ার জন্য ইতালীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের আস্থার সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের ফলে বাড়বে বলে আশা করা যায়। ইউরোপে ইতালি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। বৈধভাবে ইতালিতে বাংলাদেশি কর্মজীবীদের অভিবাসন সম্ভব হলে উপকৃত হবে উভয় দেশ। বিশেষ করে কৃষি খাতে বাংলাদেশি শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সে দেশে; যা কাজে লাগানোর কথা ভাবা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমিকা পালন করতে পারে ঢাকা ও রোমের আস্থার সম্পর্ক।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর