শিরোনাম
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তার পানি বণ্টন

আশার আলো যেন নিভে না যায়

তিস্তার পানি বণ্টনে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল ২০১১ সালে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে অভিন্ন নদী তিস্তার পানি সমভাবে বণ্টনের চুক্তি হবে এমনটিই কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাগড়াতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। বন্ধুদেশ বাংলাদেশকে কথা দিয়েও কথা রাখতে না পারা ছিল ভারতের জন্য এক বড় ধরনের ব্যর্থতা। দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের আস্থার সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করে রেখেছে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে দুই দেশের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরও এক যুগ ধরে তা ঝুলিয়ে রাখার ব্যর্থতা। আশার কথা- ভারতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটি অবিলম্বে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনের সর্বসম্মত সুপারিশ করেছে। কমিটি বলেছে, এতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপির পি পি চৌধুরী লোকসভা ও রাজ্যসভায় ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির পর্যালোচনা করে ২৫ জুলাই এ বিষয়ে প্রতিবেদন উত্থাপন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে শাসক বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও অন্যান্য দলের ৩০ এমপি রয়েছেন। তাদের প্রতিবেদনে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিশদ মূল্যায়ন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহু প্রতীক্ষিত তিস্তা পানি চুক্তি সম্পাদনে বিলম্ব বিষয়ে কমিটি অবহিত। কমিটি চায় ভারত সরকার এ সমস্যাটি সমাধানের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিক এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা করে ঐকমত্যে আসুক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে সর্বসম্মতিক্রমে তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের সুপারিশ নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ স্থায়ী কমিটিতে ইতিপূর্বে চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্বও রয়েছে। সুপারিশটি তিস্তা চুক্তি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হলেও দুই দেশের আলাপ-আলোচনার মুলো ঝুলিয়ে আশার আলো যাতে নিভে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর