শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান

নিজেদের সক্ষমতা গড়ে তুলুন

বিশ্বমন্দায় সিংহভাগ দেশ জ্বালানি সমস্যায় ভুগছে। অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে জ্বালানি সংকট। বাংলাদেশ জ্বালানির ক্ষেত্রে বহুলাংশে আমদানিনির্ভর। স্বভাবতই ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও কঠিন অবস্থা মোকাবিলা করছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের স্থল ও জলসীমায় গ্যাস-তেল অনুসন্ধানের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থলভাগে এ পর্যন্ত যেসব গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে তার মজুদ শেষ হওয়ার পথে। স্থলভাগে নতুন গ্যাসক্ষেত্র পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। দেশে কয়লার বিপুল মজুদ থাকলেও পরিবেশগত কারণে এর উত্তোলন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। এ প্রেক্ষাপটে সাগর প্রান্তে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ইতিপূর্বে নেওয়া উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) ২০২৩-এর সংশোধন করা হয়েছে। খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর আগে পিএসসির খসড়াটি প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে অনুমোদন দেন। আশা করা হচ্ছে, পিএসসিতে সংশোধন আনায় তা তেল-গ্যাস উত্তোলনের সঙ্গে যুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে। স্মর্তব্য, বঙ্গোপসাগরের অগভীর ও গভীর অংশকে মোট ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। ১১টি অগভীর ব্লকে পানির গভীরতা ২০০ মিটার পর্যন্ত। ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লকের গভীরতা ঢের ঢের বেশি। এর আগে বিদেশি কোম্পানিকে ব্লক ইজারা দেওয়ার পর তারা সেখানে গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করেও গ্যাসের মূল্য কম দেওয়া হয়েছে এই অজুহাতে বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। শুধু থেকে যায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড (ওভিএল)। প্রতিষ্ঠানটি অগভীর সমুদ্রের ৪ নম্বর ব্লকে কাঞ্চন নামের এলাকায় অনুসন্ধান কূপ খনন করে গ্যাস পায়নি। এখন আরেকটি কূপ খননের কাজ করছে। আমরা আশা করব, গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা নিশ্চিত করার দিকে নজর দেবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর