দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত শুক্রবার। এ বছর দেশের ৯টি সাধারণ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন। পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ ভাগ। সর্বোচ্চ ফলাফল জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। করোনাকালীন গত দুই বছরের তুলনায় চলতি বছরে সব বিষয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ায় পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটিই কমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত বছর এসএসসি ও সমমানে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল ১৭ লাখ ৪৩ লাখ ৬১৯ জন। পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ ভাগ। গত বছরের চেয়ে এবার ১ লাখ ২ হাজার ৪৭৯ জন কম পাস করেছে। পাসের হার কমেছে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ কমেছে ৮৬ হাজার ২৪টি। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে এসএসসির ফল প্রকাশ করা হয়। ছুটির দিন হলেও স্কুলে স্কুলে লক্ষ্য করা গেছে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস। নেচে-গেয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসব করে কৃতী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি প্রায় ২০ ভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ না হওয়ার বেদনায় ভুগছে। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে বরিশাল এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ঢাকা বোর্ড। বরিশাল বিভাগে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সবচেয়ে কম পাস করেছে সিলেটের শিক্ষার্থীরা। ওই বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডের ৪৬ হাজার ৩০৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। অর্থাৎ ৯টি বোর্ডের মধ্যে জিপিএ প্রাপ্তদের এক চতুর্থাংশই ঢাকা বোর্ডের। মাধ্যমিক পরীক্ষায় চলতি বছর ৪৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদৌ পড়াশোনা হয় কি না সে সংশয়ের প্রকাশ ঘটেছে এই নেতিবাচক ফলাফল। পাস না করা কিংবা পাসের হার একেবারে নিচের দিকে যেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত বাতিলের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। অন্যদের জন্যও যা হুঁশিয়ারি বলে বিবেচিত হবে।