মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল ১৮ ওয়ার্ড

দ্রুত উন্নয়নের উদ্যোগ নিন

ছয় বছর আগেই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সম্প্রসারিত হয়েছে বাস্তবতার নিরিখে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসিতে যুক্ত হয়েছিল নতুন ১৮টি ওয়ার্ড। ছয় বছর পরও ভাঙা রাস্তা ও জলজট প্রতিটি ওয়ার্ডের অনুষঙ্গ। উন্নয়ন কাজের ধীরগতিতে মিলছে না কাক্সিক্ষত নাগরিক সেবা। রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে কেউ অসুস্থ হলে তাকে অ্যাম্বুলেন্স দূরের বিষয়, কোনো যানবাহনে নিয়ে যাওয়া-আসাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষাবৃষ্টিতে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। হাঁটুপানি পার হয়ে ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে হয় বহু এলাকায়। সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা হয়েও সাধারণ নাগরিক সুবিধা পায় না ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ২০১৭ সালের জুলাইতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে যোগ হয় ১৮টি ওয়ার্ড। বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাইদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়। এতে ৩৬টি থেকে ডিএনসিসির ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪-তে। ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া এসব ওয়ার্ডের নাগরিক সুবিধা বাড়াতে উদ্যোগ নেয় ডিএনসিসি। কিন্তু এখনো দুর্ভোগে বেহাল নগরজীবন। আজমপুর রেলগেট থেকে উত্তরখান শাহ কবির মাজার পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কে সারা বছর পানি জমে থাকে। রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশন নালা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শাহ কবির মাজার রোড এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। ফলে এলাকাবাসী বিশেষত ওই পথের যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এ সড়কে রয়েছে হাসপাতাল, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গুলশান-বারিধারা অভিজাত কেন্দ্র সংলগ্ন নূরের চালা, সাঈদনগরের অবস্থাও অভিন্ন। মনে হয় এগুলো যেন মান্ধাতা আমলের জনপদ। সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলোকে দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের বাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এটি যে রাজধানীর অংশ তা ভেবে নিতে হবে পদক্ষেপ।

সর্বশেষ খবর