শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এক মাসেই সাত গুণ

ডেঙ্গু রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন

এ বছর জুনেই ডেঙ্গু হানা দিয়েছে জোরেশোরে। জুলাইয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে জুনের চেয়ে সাত গুণ বেশি। অবস্থা এমনই নাজুক হয়ে উঠেছে যে ডেঙ্গুর ভাইরাসপ্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি এখন সরকারের বিবেচনাধীন। মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশন তাদের কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতোমধ্যে। এ ব্যাপারে জনগণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। দেরিতে হলেও মশা মারা কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। এ কার্যক্রমে রাজধানীর বাসিন্দাদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটিও বাস্তবসম্মত। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। সামাজিক আন্দোলনও গড়ে তোলা যেতে পারে মশা মারায়। ডেঙ্গুর থাবায় গত রবিবার আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩১ জন এবং মারা গেছেন আটজন। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৩৮

জন এবং মারা গেছেন ২৪৭ জন। রবিবার ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৫৪৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৯ হাজার ৪১৮ জন। ২৯ জুলাই মারা গেছেন ১০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ১৪৩ এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৫৯ জন। জুনে সারা দেশের হাসপাতালগুলোয় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৬ জন। জুলাইয়ের ৩০ দিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৮ হাজার ৪২৯ জন। জুলাইয়ে জুনের তুলনায় সাত গুণের বেশি রোগী হাসপাতালে ভার্তি হয়েছেন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। শতকরা বিবেচনায় পুরুষ ডেঙ্গু রোগী ৬৪ শতাংশ আর নারী ৩৬ শতাংশ।

বিশেষ করে ১১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের এ হার হাসপাতালগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রণীত। আক্রান্তের এক বড় অংশ যে হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছে, তা একটি সত্যি। মৃত্যুহারও অজ্ঞাত থেকে যাচ্ছে সংগত কারণে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা মারায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিতে হবে। সবচেয়ে সুফল আসবে একে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা গেলে।

সর্বশেষ খবর