বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাবেননি ঘরেই আছে বিভীষণ!

আফরোজা পারভীন

ভাবেননি ঘরেই আছে বিভীষণ!

প্রতিটি মানুষের জীবনে বিশেষ কিছু দিন, কিছু মাস থাকে। সে দিন, সে মাসগুলো অন্য দিন, অন্য মাসের চেয়ে আলাদা, স্পেশাল। কখনো আনন্দের বান ডাকা, কখনো দুঃখের পাথারে ভাসা! আমার জীবনেও এমন অনেক দিন, অনেক মাস আছে। আমার বিয়ের দিন, স্বামী-সন্তান, ভাই-বোন, কাছের মানুষের জন্মদিন, তাদের সাফল্যের দিন, লেখা ছাপা হওয়ার প্রতিটি দিন, এমন অনেক  আনন্দঘন দিন। সঙ্গে আছে বেদনার দিন! বেদনার মাস! বাবা-মা, স্বামী, বড় ভাই, আত্মীয়, বন্ধু, কাছের মানুষের মৃত্যু দিন, পাওয়া জিনিস হারানোর দিন, আকস্মিক কোনো আঘাত পাওয়ার দিন। দুই ধরনের দিনই আমরা যাপন করি আনন্দ-বেদনায়! জীবনযাপনের, এ থেকে মুক্তি নেই কারও!

ব্যক্তিজীবনের এসব আনন্দ-বেদনার দিন ছাড়াও সমগ্র বাঙালি জীবনে আছে অনেক আনন্দ-বেদনার দিন। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, নববর্ষ তেমন আনন্দের দিন।  মর্মন্তুদ বেদনার একটি দিন ১৫ আগস্ট! ডুকরে কাঁদার মাস আগস্ট!

আগস্ট এলেই তাই গাছের পাতা ঝরে, ফুল শুকিয়ে যায়, নদীর স্রোত থমকে দাঁড়ায় বেদনায়! হিমালয়সম ব্যথা দীর্ণ করে বুকতল। হু হু করে অন্তর, সব কিছু ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে! কেন করে! যার/যাদের জন্য করে তাদের সঙ্গে তো আমার কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। তাহলে কেন এই টান, কীসের টান! এ টান আত্মার, মর্মের!

রোদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বরফের। তবুও রোদে বরফ গলে। পাথরও ক্ষয় হয় ঘর্ষণে। আমাদের বুকে ভারকরা ব্যথার পাথরও ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় আগস্টের আগমনীতে! আগস্ট এমনই এক বেদনাবিধুর মাস।

আমার আব্বা আমৃত্যু এই দিনটিতে রোজা রেখেছেন। তিনি ধার্মিক ছিলেন, কাঁদতেন না। কিন্তু তাঁর যাতনা বুঝতাম। আগস্ট এলেই ভেঙে পড়তেন। অতীত স্মৃতিচারণা করতেন! জাতির জনকের সঙ্গে একান্ত স্মৃতি! আমাদের বাড়িতে ঘুম ভাঙত আব্বার কোরআন তেলাওয়াতে। খাবার টেবিলে প্রতিদিনই অনিবার্যভাবে চলে আসত রাজনীতি। আর রাজনীতি মানেই বঙ্গবন্ধু। তাই বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি স্মরণ হওয়ার পর থেকেই।

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পতাকা উড়িয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশে ফিরলেও আমার বড় ভাই সাঈফ মীজান ফেরেননি। তিনি আত্মাহুতি দিয়েছেন পিরোজপুরের মাটিতে। বলেশ্বরের অথৈ জলের কোথায় তাঁর নিবাস আমরা জানি না। আমার মায়ের চোখে আমৃত্যু ঢেউ খেলেছে বলেশ্বরের জল। তাই ১৬ ডিসেম্বর ’৭১ দেশ স্বাধীন হলেও, আমাদের ছাদে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়লেও আমাদের মুখে হাসি ছিল না। ছিল স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার গর্ব! ১৯৭২-এ স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন নড়াইলে। আমার বর্ষীয়ান পিতা একজন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক, নড়াইল এলাকার একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের উদ্বোধক, একটি অঞ্চলে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী। পুত্র শোকে তিনি তখন স্তব্ধ, অকালে বুড়িয়ে গেছেন! পিতা বসেছিলেন মঞ্চের সামনের সারিতে। হেলিকপ্টার থেকে নেমে দৃপ্ত পায়ে জাতির জনক হেঁটে গিয়েছিলেন মঞ্চে। হাত নেড়ে বসেও ছিলেন। বিপুল জনতা উল্লাস করে উঠেছিল। তারপর তাঁর চোখ যায় সামনে। সিকিউরিটির বাধা অতিক্রম করে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন বঙ্গবন্ধু। সামনের সারিতে এসে আব্বাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, নিয়ে যান মঞ্চে। বসিয়ে দেন পাশের চেয়ারে। বলেন, ‘আফসার ভাই, আপনার জায়গা ওখানে নয়, এখানে। আমার পাশে।’ বড়দাকে স্মরণ করে অনেক দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেন, “আফসার ভাইয়ের বাড়ি-ঘর পেট্রোল ঢেলে জ¦ালিয়ে দিয়েছে, মীজান শহীদ হয়েছে। ওনার জন্য ঢাকায় একটা বাড়ির ব্যবস্থা কর।” আমরা সে বাড়ির জন্য কোনো যোগাযোগ করিনি, ঢাকায় যাইওনি। সেদিন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী ছিলাম। সে কথা ভাবলে আজও চোখ ভিজে ওঠে। গর্বিত হই! তার তিন বছর পরই তো বঙ্গবন্ধু শহীদ হলেন। বঙ্গবন্ধু নেই, দুই কন্যা ছাড়া তাঁর পরিবার-পরিজন নেই, আব্বা নেই। কিন্তু আমি বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর সেই মহানুভবতার সাক্ষী হয়ে, আজও বেঁচে আছে সে দিনের প্রত্যক্ষদর্শী কিছু মানুষ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দিন-রাত ছুটছিলেন দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তাঁর খাওয়া, ঘুম ছিল না। বীর নারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদের সন্তানদের দিয়েছিলেন নিজের পরিচয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক দৃঢ় করছিলেন, অর্থনৈতিক ভিত মজবুত করতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু আঘাত আসছিল একের পর। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সঙ্গে প্রকৃতির বৈরিতা ছিল, ছিল কাছের মানুষের লোভ-লালসা। ’৭৪-এর দুর্ভিক্ষ সামলে উঠেছিলেন, বাসন্তীর জাল পরানো ছবি বিশ্ব মিডিয়ায় ছাপিয়ে চাপের মধ্যে ফেলার পরও উঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাবেননি ঘরেই আছে বিভীষণ! পাকিস্তানিরা তাঁর গায়ে হাত দিতে সাহস পায়নি, কিন্তু সাহস পেল কাছের মানুষ। শুধু তিনি নন, পুরো পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, এমনকি ১০ বছরের শিশুটিও রক্ষা পেল না রাক্ষসী থাবা থেকে! লোভের আগ্রাসন এতটাই!

পৃথিবীর ইতিহাসে রাষ্ট্রনায়কদের হত্যা নতুন কিছু নয়। অসামান্য ত্যাগ স্বীকারের পরও আধুনিক পৃথিবীতে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছে অনেক রাষ্ট্রনায়ককে।

যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ থামাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তি হয়ে আছেন। তাঁর সময়েই যুক্তরাষ্ট্রে দাস প্রথার অবসান হয়। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটারে নাটক দেখছিলেন তিনি। এ সময় জন উইলকস বুথ নামের আততায়ী লিংকনের মাথার পেছনে গুলি করে। বেঁচে যান তিনি। এখানেই শেষ নয়। ১২ দিন পর ভার্জিনিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি খামারের গোলাঘরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিয়ন সেনাদের হাতে নিহত হন তিনি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোগামী ব্যক্তিত্ব এবং অহিংস আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকেও হত্যা করা হয় নির্মমভাবে। তিনি ভারতের জাতির জনক। গোটা বিশ্বে তিনি ‘মহাত্মা’ নামে পরিচিত। ভারতীয়রা তাঁকে ‘বাপু’ বলে ডাকে। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি নতুন দিল্লিতে রাত্রিকালীন পথসভা করার সময় নথুরাম গডসে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

জন এফ কেনেডি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট। জেএফকে নামেই পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ২২ নভেম্বর ১৯৬৩ সালে ছাদখোলা গাড়িতে স্ত্রী জ্যাকুলিনকে নিয়ে টেক্সাসের ডালাস অঙ্গরাজ্য ভ্রমণে আসেন তিনি। দুপুর সাড়ে ১২টায় টেক্সাস স্কুল বিল্ডিংয়ের সামনে হাজার হাজার অনুগামীর উপস্থিতিতেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিসরের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদ’তকে কায়রোতে সামরিক কুচকাওয়াজ চলাকালে কয়েকজন সেনাসদস্য গুলি করে হত্যা করে।

শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কন্যা। ভারতের তৃতীয় এবং প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ভিতরে একটি উদ্যানের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময় নিরাপত্তাকর্মী বিয়ন্ত সিং ও সতবন্ত সিংয়ের গুলিতে নিহত হন তিনি।

যাদের কথা বললাম তাঁরা ছাড়াও নিহত হয়েছেন, বেনিনো অ্যাকুইনো, রাজীব গান্ধী, বেনজির ভুট্টোসহ অনেক। কিন্তু বলার কথা এটাই যে, এদের প্রায় সবার হত্যার পেছনে কোনো না কোনো কারণের আভাস পাওয়া গেছে। বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায়নি। কেন তাঁকে হত্যা করা হলো তা আজও অজ্ঞাত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের জনক। তিনি একদিনে শেখ মুজিব হননি। পেছনে ছিল দীর্ঘ পথপরিক্রমা। স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতি করেছেন। ইসলামিয়া কলেজের ভিপি ছিলেন। ভারত ভাগের পর ক্রমে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে তিনি গড়ে তোলেন দুর্বার আন্দোলন। ‘ছয় দফা’, গণ আন্দোলন এবং ’৭০ এর নির্বাচন তাঁকে জনগণের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে। পাকিস্তান সরকার ১৯৬৮ সালে ‘আগরতলা মামলা’ রুজু করেও তাঁকে দমাতে পারেনি। ১৯৭০ সালে নির্বাচনে তুমুল বিজয়ের পরও ক্ষমতা ছাড়েনি পাকিস্তানি জান্তা। আর তাই তো ১৯৭১ এর মরণপণ লড়াই! ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নির্বিচার গণহত্যার পর বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। গ্রেফতারের আগে তিনি ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ দিয়ে যান। পাকিস্তানে তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় প্রহসনমূলক বিচার। বিচারে তাঁর মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক চাপে তা কার্যকর করতে পারেনি পাকিস্তান সরকার। বঙ্গবন্ধুর গায়ে হাত দিতে পারেনি তারা। বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। প্রথমে রাষ্ট্রপতি পরে প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে একদল সেনা কর্মকর্তা ট্যাংক দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ঘিরে ফেলে। বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজন, ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে। পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

১৪ আগস্ট সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভিড় ছিল। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তার প্রস্তুতিও চলছিল। রাত বাড়তে থাকলে একে একে প্রায় সবাই বিদায় নেন। তখন কিন্তু এতটুকু আভাসও পাওয়া যায়নি যে, এই রাতই বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ রাত!

সে দিনের হত্যাকান্ড বড় নৃশংস। ১০ বছরের শেখ রাসেল হত্যার আগে মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর দোহাই আমাকে জানে মেরে ফেলবেন না। আমার হাসু আপা দুলাভাইয়ের সঙ্গে জার্মানিতে আছেন। আমি আপনাদের পায়ে পড়ি, দয়া করে আপনারা আমাকে জার্মানিতে তার কাছে পাঠিয়ে দিন।’

রাসেলের এই মর্মস্পর্শী আর্তিতে একজন সৈন্যের মন গলায় সে তাঁকে বাড়ির গেটে সেন্ট্রিবক্সে লুকিয়ে রাখে। কিন্তু এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর একজন মেজর সেখানে রাসেলকে দেখতে পেয়ে তাকে দোতলায় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় রিভলবারের গুলিতে হত্যা করে।

এসব ঘটনা এ দেশের আপামর জনগণ জানেন। অল্প কিছু স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্য সবাই চোখের জলও ফেলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেন না এমন লোক এ দেশে কমই পাওয়া যাবে। তবে এ দেশে এমন লোকও আছে যারা প্রকৃত জন্মদিন না হলেও ওই দিনেই জন্মদিন পালন করে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মনে আঘাত দেওয়ার জন্য!  এটা এক ধরনের অসুস্থতা!

বঙ্গবন্ধুকে কেন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো সে প্রশ্নের জবাব আজও অনেকটাই অমীমাংসিত। দীর্ঘদিন এ হত্যাকান্ডের কোনো বিচার হয়নি। বরং খুনিদের বাঁচানোর প্রচেষ্টায় ‘ইনডেমনিটি বিল’ পাস করা হয়েছিল। বিষয়টি ভাবার।

৩৫ বছর পর বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছে আরও কয়েকজন খুনি। তাদের দেশে ফিরিয়ে শাস্তি কার্যকর করা দরকার। এখানেই শেষ নয়। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা অধিকাংশ মধ্যম সারির সেনা কর্মকর্তা।  সঙ্গে ছিল ক্ষমতালোভী কতিপয় রাজনীতিক। কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট একজন পাহাড়সম রাজনীতিক ব্যক্তিত্বকে হত্যার জন্য! এই হত্যার কারণ আরও গভীরে প্রোথিত থাকলে অবাক হব না। পর্দার আড়ালে দেশি-বিদেশি অন্য কোনো শক্তি থাকাও স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু হত্যার কারণ অনুসন্ধান আরও ব্যাপকভাবে হওয়া দরকার।

প্রতিটি জাতির একজন পিতা থাকে। চাক্ষুস না থাকলেও অন্তরে থাকেন তিনি। তিনি আছেন, থাকবেন!

                লেখক : কথাশিল্পী, গবেষক, সাবেক যুগ্ম সচিব

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর