বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

উন্নয়ন বঞ্চিত ১৮ ওয়ার্ড

কর্তৃপক্ষের সক্রিয়তা কাম্য

রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সংলগ্ন শহরতলি এলাকার ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয় ২০১৭ সালে। তারপর ছয় বছর কেটে গেলেও এগুলো যে রাজধানীর অংশ তা ভাবাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম মেগা সিটির বাসিন্দা হলেও ঢাকা দক্ষিণের ১৮টি ওয়ার্ডের নাগরিকরা নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে কোন যুগে বসবাস করছেন তা নিয়ে নিজেরাও সংশয়ে ভোগেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে নতুন যোগ হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের সিংহভাগ এলাকায় গত ছয় বছরে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশনভুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোর শুধু কাগুজে মর্যাদার পরিবর্তন হয়েছে। নগর এলাকার সেবা বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছেন না এসব ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। একদিকে মশা অন্যদিকে জলজট ও ভাঙাচোরা সড়কে চলাচলের দুর্ভোগে জর্জরিত ১৮টি ওয়ার্ডের লাখ লাখ মানুষ। এসব এলাকায় নেই নগর উপযোগী সড়ক, ড্রেন ও ফুটপাত। পার্ক ও উদ্যান, খেলার মাঠ, ব্যায়ামাগার, কমিউনিটি সেন্টার, পাবলিক টয়লেট, মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র নেই কোনো ওয়ার্ডে। ডিএসসিসি থেকে এসব ওয়ার্ড নিয়ে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার কথা বলা হলেও অর্ধ যুগেরও বেশি সময়ে কয়েকটি সড়ক ও এলইডি বাতি ছাড়া কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি বললেই চলে। ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ। দিনের বেলায় মশা কম থাকলেও সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় আক্রমণ। বেশির ভাগ রাস্তাঘাটের চেহারা দেখলে মনে করা কঠিন হবে সেগুলো রাজধানীর সড়ক কি না। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ার পর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে কর্তৃপক্ষীয় অমনোযোগিতায়। হচ্ছে হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই আশ্বস্ত করে রাখা হচ্ছে এসব ওয়ার্ডের অসহায় বাসিন্দাদের। ইউনিয়ন পরিষদের এলাকা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করলেও ওইসব এলাকার উন্নয়নে এযাবৎ চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অসঙ্গতি দূর করতে কর্তৃপক্ষ সক্রিয় হবে এমনটি প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর