বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর আগ্রাসন

কর্তাদের সদিচ্ছার অভাবেই ভোগান্তি

ডেঙ্গু রোগী নিয়ে কঠিন সমস্যায় পড়েছে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলো। বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে শিশু রোগীর ভিড় পরিস্থিতিকে অসহনীয় করে তুলেছে। শিশু রোগীদের সঙ্গে অভিভাবকদের থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। অথচ কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর জন্য সিট খালি পাওয়া দুষ্কর। ফলে যেখানে-সেখানে মেঝে বারান্দা করিডোরে রোগী রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বিপুল হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের। মুগদা হাসপাতালের আটতলার শিশু ওয়ার্ডে শয্যার তুলনায় কয়েকগুণ রোগী ভর্তি। হাঁটাচলার মতো অবস্থা নেই। অন্য ওয়ার্ডগুলোরও একই অবস্থা। রাজধানীর অন্য হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতিও প্রায় অভিন্ন। সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালেই তিল ধারণের জায়গা মিলছে না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড ভাঙছে। বাড়ছে মৃত্যুও। ঢাকার বাইরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৮৪ জন, মারা গেছেন ১০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ১৩১ জন এবং ঢাকার বাইরের ১ হাজার ৪৫৩ জন। এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪১৬ জন, মারা গেছেন ২৬১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯ হাজার ২৬৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৮৬৯ জন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২ হাজার ৪৮২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ২ হাজার ৩৮৭ জন। ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে এই আতঙ্ক সৃষ্টিকারী রোগ। হাসপাতালের বাইরে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রোগীর সংখ্যা বিপুল। ডেঙ্গুর কারণে রাজধানীর বাইরেও জটিল সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গু ঠেকানোর প্রধান উপায় এডিস মশা নিধন। সে ব্যাপারে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের দায়বোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। কর্তাব্যক্তিদের সদিচ্ছার অভাবে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। এটি কোনোভাবেই নাগরিকদের কাছে মেনে নেওয়ার মতো বিষয় নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর