শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রপ্তানিতে সুখবর

লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের আশাবাদ

রেমিট্যান্স আয়ের একাংশ হুন্ডিওয়ালারা গিলে খাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ যখন সংকটের মুখে তখন রপ্তানি খাতে একই সঙ্গে এসেছে দুটি সুখবর। এর একটি হলো বিশ্ববাজারে ২০০৫ সালের পর পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশীদারি তিন গুণ বেড়েছে। এর বদৌলতে ২০২২ সালে বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম পণ্য ব্যবসায়ী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪৯তম। ২০১৯ সালে অবস্থান ছিল ৫৩তম। ২০০৫ সালে বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ তা দেড় যুগের ব্যবধানে তিন গুণ বেড়ে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁচামাল ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে। ৩১ জুলাই প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক বাজারের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাংলাদেশ ২০২১ সালে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বাজারের অংশীদারি অর্জন করে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সরকার যখন নানামুখী উদ্যোগ নিচ্ছে তখন অর্থবছরের প্রথম মাসেই দেশের রপ্তানি খাত চমক দেখিয়েছে। জুলাইয়ে পণ্য খাতে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৬০৮ মিলিয়ন ডলার। দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের আশা রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এ হার অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম সম্ভব হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচনের বছরে দেশের রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা অমূলক। কারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো অচলাবস্থা সৃষ্টি হবে না এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। রপ্তানির টার্গেট অতিক্রমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখার বিষয়টিও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর