শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশে ওষুধ রপ্তানি

সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠুক

বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৩১টি দেশে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি খাত থেকে আয় হয়েছে ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ডলারের ওষুধ। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা মূল্যের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে এ তথ্যচিত্র গর্বের। ওষুধ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশে। বিদায়ী অর্থবছরে দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারকরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সর্বোচ্চ ২ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি করেছেন। বাংলাদেশি ওষুধের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি হয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ডলারের ওষুধ। মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার পর শীর্ষ ১৫ আমদানিকারকের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, কেনিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, নেপাল, নাইজেরিয়া, ডেনমার্ক, সোমালিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। যদিও প্রতি বছর বাংলাদেশের ওষুধপণ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রত্যাশিত মাত্রায় বাড়ছে না, তবু স্থানীয় উৎপাদকরা বিশ্বজুড়ে তাদের বাজার বৈচিত্র্যময় করছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার হলেও আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ওষুধ কোম্পানির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মাত্র দুই দশক আগে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি বাজার ৩০টির কম দেশে ছিল। এখন এটি ১৩০টির বেশি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানির আশা করছেন রপ্তানিকারকরা। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯০ শতাংশ ছিল আমদানিনির্ভর। সে চিত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। রপ্তানি পণ্য হিসেবে ওষুধ স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি ওষুধের বাজার সম্প্রসারণ ইতিবাচক হলেও রপ্তানি সে হারে বৃদ্ধি না পাওয়া হতাশাজনক। এ বিষয়টি পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করা হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর