শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নারী ফুটবলারদের মারধর

প্রশাসনের ঘুম ভাঙুক

খুলনার বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের মারধর করেছে চিহ্নিত একটি চক্র। মারধর করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি দুর্বিনীতরা। মামলা প্রত্যাহার না করলে তারা নারী ফুটবলারদের অ্যাসিড মারারও হুমকি দিচ্ছে। হুমকিদানকারীদের ব্যাপারে প্রশাসনের সক্রিয়তার অভাব থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারী ফুটবলাররা। অপরাধী ও তাদের স্বজনদের ভয়ে ফুটবলারদের অনেকেই অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকছেন। স্মর্তব্য, ২৭ জুলাই একজন নারী ফুটবলারের বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে এলাকার লোকজন আজেবাজে মন্তব্য করে। নারী ফুটবলার যেন ফুটবল খেলতে না যায় এমন হুঁশিয়ারিও দেয়। এ প্রেক্ষাপটে তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সদস্য ও নারী ফুটবলাররা ২৯ জুলাই ওই মেয়ের বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা নারী ফুটবলারদের মারধর করে আহত করে। লোহার রডের আঘাতে মঙ্গলী বাগচীর মাথা ফেটে যায়। এ ছাড়া হাফ প্যান্ট পরে গ্রামের মাঠে ফুটবল খেললে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতির ভাষ্য, হামলার পর মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু এবারই প্রথমবার এ ধরনের ঝামেলা তৈরি হলো। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেছেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকির অভিযোগে সাদিয়া ৩১ জুলাই জিডি করেন। মারধরের মামলা এবং জিডির তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নূর আলম বর্তমানে কারাগারে। বটিয়াঘাটায় নারী ফুটবলারদের মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকির ক্ষেত্রে স্থানীয় থানার ভূমিকা নিয়ে সংশয় থাকায় ফুটবলারদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। পুলিশ নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তা ও মারধর এবং হুমকিদানের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে সক্রিয় হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর