রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

উপকূলে প্লাবন

জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি

সাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট বেপরোয়া জোয়ার এবং ভারী বৃষ্টিতে দেশের উপকূলভাগের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে সয়লাব হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের বৃহদাংশ শুক্রবার ছিল পানির নিচে। খোদ মেয়রের বাসভবনেও ছিল হাঁটুপানি। বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জনপদ। কক্সবাজারে সাগরপাড়ের মেরিন ড্রাইভে নতুন পাঁচটি স্পটে ভাঙন ধরেছে প্রবল ঢেউয়ে। চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। জোয়ারের সময় পানি উঠে সড়ক, গলি থইথই অবস্থা ধারণ করায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হয় নগরবাসী। অনেকের বাসায় জ্বলেনি চুলা। পাইকারি বাণিজ্য কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে মালামাল। নষ্ট হয়েছে বাড়ির আসবাবপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকা এবং স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম মহানগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা, চকবাজার, ডিসি রোড, ফুলতলা, বাকলিয়া, কাতালগঞ্জ, আরাকান রোড, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল সড়ক, তিন পুলের মাথা, মোহরা, হামিদচর, চররাঙামাটিয়া, চান্দগাঁও বাস টার্মিনাল, ২ নম্বর গেট, ষোলশহর, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, খাজা রোড, মিয়াখান নগর, প্রবর্তক মোড়ে বৃষ্টির পানি জমে যায়। মহানগরের অন্যান্য অংশেও ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারে হাঁটুপানির নিচে ডুবে যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে বাগেরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ঘের। সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীতেও অনুভূত হয়েছে নিম্নচাপ ও জোয়ারের প্রভাব। জলবায়ু পরিবর্তন যে বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত হয়ে উঠছে, নিম্নচাপ ও জোয়ারে উপকূলভাগের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়া তারই ইঙ্গিত। এ বিপদ ঠেকাতে কার্যকর প্রস্তুতির উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর