বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলাবদ্ধ লাখো মানুষ

দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে হবে

টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও অস্বাভাবিক জোয়ারে দেশের বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা কয়েকদিন ধরে পানির নিচে। জলাবদ্ধতার শিকার লাখ লাখ মানুষ। চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজার ও বান্দরবানের সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপদ্রুত অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল ও আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গত পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণে ব্যাহত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম। সাগর উত্তাল থাকায় বহির্নোঙরে যেতে পারছে না লাইটার জাহাজ; যার প্রভাব পড়েছে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে। চট্টগ্রামের চকবাজার, বাকলিয়া, বাদুড়তলা, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, আতুরার ডিপোসহ নগরের বেশির ভাগ নিম্ন এলাকা পাঁচ দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। বাসাবাড়িতে ঢুকে গেছে পানি। ডুবে গেছে নিচতলার পানির মোটর। এ কারণে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত। সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী এলাকাবাসীর ত্রাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। বান্দরবানে খোলা হয়েছে ২০৭টি আশ্রয় কেন্দ্র। পাহাড়ি ঢল, জোয়ারের পানি ও ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ৬০টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢল ও ঘন বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটেও পানি উঠেছে। ফেনীতে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাগেরহাটে টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ডুবে আছে বিস্তীর্ণ জনপদ। লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীতেও অস্বাভাবিক জোয়ারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে মানুষ। দুর্গতদের পাশে ইতোমধ্যে প্রশাসন দাঁড়িয়েছে। তাদের কষ্ট লাঘবে সমাজের সম্পন্ন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর