বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু চিকিৎসা

ওষুধপত্রের দাম বৃদ্ধি উদ্বেগজনক

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ইতোমধ্যে সাড়ে তিন শর ফলক স্পর্শ করেছে। এ বছর সরকারি হিসাবে অর্থাৎ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বা নিচ্ছে এমন রোগীর সংখ্যা ৭২ হাজারের ওপরে। তবে হাসপাতালের বাইরে অর্থাৎ বাড়িতে থেকে যারা চিকিৎসা নিয়েছে তাদের সংখ্যা যোগ হলে এ সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হওয়ার কথা। ডেঙ্গুর থাবা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে স্যালাইনসহ চিকিৎসা উপকরণ ও পথ্যের দাম। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্যালাইনের চাহিদা বেড়েছে, সে তুলনায় সরবরাহ নেই। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে, ডায়রিয়া বা কলেরা হলে অথবা কখনো কখনো রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখার জন্য শিরায় দেওয়া স্যালাইন ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। হঠাৎ ডায়রিয়া বা কলেরা বাড়লে স্যালাইনের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। ডেঙ্গু রোগীদেরও অনেক সময় স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। প্রধানত শিরায় দেওয়া স্যালাইন চার ধরনের।

এর মধ্যে সাধারণ স্যালাইন ডেঙ্গু চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই স্যালাইন উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো স্যালাইনের দাম বাড়িয়েছে। আগে যে স্যালাইন বিক্রি হতো ৯০ টাকায়, এখন তা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। রোগীর শরীরে স্যালাইন ঢোকানোর জন্য ক্যানোলা ব্যবহার করা হয়। ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ায় উৎপাদক ও সরবরাহকারীরা ক্যানোলার দাম বাড়িয়েছে। আগে ক্যানোলার যে সেটের দাম ছিল ৪০ টাকা, এখন তা ১৫০ টাকা। এর সঙ্গে বেড়েছে ক্যানোলা স্থাপনে ব্যবহৃত বিশেষ টেপ মাইক্রোপ্রোর দাম। আগে এক বাক্স মাইক্রোপ্রোর দাম ছিল ৬০০ টাকা, এখন তা ৮০০। স্বভাবতই রোগীর স্বজনদের বাধ্য হয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে ক্ষোভ। ডেঙ্গুর রোগীদের পণ্য হিসেবে ডাবের পানি দেওয়া হয়। সেই ডাব ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু আক্রান্তদের রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। এতে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ হ্রাস পায়। রক্তের তারল্য এবং রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্যালাইন দেওয়া হয়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সময় ওষুধপণ্যের দাম বাড়া দুর্ভাগ্যজনক। এই অমানবিকতার অবসান কাম্য। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর