শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বন্যার ক্ষয়ক্ষতি

রাস্তাঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নিন

টানা বৃষ্টি ও মাত্রাতিরিক্ত জোয়ারে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠে থাকা বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষতি হয়েছে পানি জমে থাকায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে রাস্তাঘাট ও বাঁধ। ঘন বর্ষণ ও বন্যায় রাস্তাঘাটের যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামতে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় হবে। তবে আশার কথা, গত তিন দিনে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এসব উপজেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে আসছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সার্বিক ক্ষতির হিসাব নির্ণয় করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক, কেরানীহাট-বান্দরবানসহ আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় তিনজন এবং চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাতনামা একজনসহ দুজনের লাশ পাওয়া যায়। রাঙামাটিতে পানিতে ডুবে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এর আগে চকরিয়ার পাটালিপুল থেকে নানা ও নাতির লাশ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবারও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় যারা আশ্রয় কেন্দ্র বা নিরাপদ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। উপদ্রুত এলাকায় এখনো বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। বন্যা বাংলাদেশের প্রকৃতির সহজাত অনুষঙ্গ। দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে এ সমস্যা মোকাবিলা করেই টিকে আছে। আমরা আশা করব ঘন বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও অতি জোয়ারজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাস্তাঘাট সংস্কারে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর