শিরোনাম
রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিমের দামে কারসাজি

প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত নিন

ডিমের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। ১৪ মাসের ব্যবধানে এ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। শুক্রবার রাজধানীতে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। ১৪ মাস আগে প্রতি ডজনের দাম ছিল ৮৬ থেকে ৯০ টাকা। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন ডিমের দাম বৃদ্ধির জন্য করপোরেট সিন্ডিকেটকে দায়ী করেছে। ফিডের দাম বাড়িয়ে তারা বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। লোকসান দিতে গিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ের অধিকাংশ ছোট খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যার খেসারত দিচ্ছে ভোক্তারা। পোলট্রি ফার্মের মালিকদের মতে, বর্তমানে প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে ১১ টাকা। ফিড নিজেদের হওয়ায় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকার কম। তারা এসএমএস দিয়ে দাম বাড়ায়-কমায়। ২০২১ সালে ১ কেজি ভুট্টার দাম ছিল ২৮ টাকা, ৫০ কেজির ১ বস্তা পোলট্রি ফিডের দাম ছিল ২ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২২ সালের শুরুতেও ভুট্টার দাম একই থাকলেও ফিডের দাম বস্তায় ২০০ টাকা বাড়ে। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে লাগামহীন ফিডের দাম বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভুট্টার কেজি ৪১ টাকা হলে ফিডের ৫০ কেজি বস্তার দাম পৌঁছায় ৩ হাজার ৭৪০ টাকায়। মার্চে ভুট্টার দাম কমে ২৬ টাকার নিচে নামলেও ফিডের দাম কমানো হয় কেজিতে মাত্র ৩ টাকা। ডিম মানুষের আমিষ চাহিদা পূরণে অবদান রাখে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিমের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশে যে দামে পোলট্রি মুরগি এবং ডিম বিক্রি হচ্ছে আমদানি করলে তার দাম অনেক কম হওয়ার কথা। ডিমের দাম না কমলে আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ডিমের দাম বাড়ানোর কারসাজি বন্ধে সারা দেশে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে ডিমের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তা স্পষ্ট নয়। আমাদের মতে ডিমের দাম কমাতে হলে ফিডের দাম কমাতে হবে। ফিডের মূল্য বৃদ্ধির যে কারসাজি রয়েছে তার ইতি ঘটাতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর