রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিমানবন্দরের উন্নয়ন

সময়ের চাহিদা পূরণে অবদান রাখবে

আজকের যুগে আকাশ পথের যোগাযোগ বিলাসিতা নয়। এটি খুবই দরকারি বিষয়। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আকাশ পথের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে সরকার দেশের ৮টি বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। বিমানবন্দর উন্নয়নের সুবিধাগুলো চলতি বছরের অক্টোবর থেকে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এসব কার্যক্রমের ফলে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে সেবার মান বাড়বে যাত্রী ধারণ সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিনটি আন্তর্জাতিক ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ এখন চলমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন, সিলেট বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে এবং বেবিচকের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ কমপক্ষে সাতটি প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। রাজশাহী, যশোর, সৈয়দপুর, কক্সবাজার, বরিশালে রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। রানওয়ে বড় হলে বড় উড়োজাহাজ অনায়াসে ওঠানামা করতে পারবে। রাজশাহীতে আরেকটি টার্মিনাল বিল্ডিং করা হবে। সিলেটে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে। এ কাজগুলো শেষ হলে যাত্রীসেবার মান বাড়বে। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ, কক্সবাজারে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে স্থাপন, ছয়টি বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ, কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। স্বভাবতই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ বাড়ছে। বাংলাদেশে ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে প্রতিদিনই আসছেন বিদেশ থেকে বিপুল মানুষ। তাদের যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বিমানবন্দর উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৭০ লাখ। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের পর এ ক্ষমতা প্রায় তিন গুণ অর্থাৎ ২ কোটির কাছাকাছি দাঁড়াবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত হবে মেট্রোরেল। ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে থার্ড টার্মিনাল ভূমিকা রাখবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরের আধুনিকায়নও একটি ভালো বিনিয়োগ বলে বিবেচিত হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর