শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

আবাসন খাতে মন্দা

সংকট মোচনের উদ্যোগ নিতে হবে

ভবন বা ফ্ল্যাট নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে বেড়েছে নিবন্ধন খরচও। উচ্চমূল্যস্ফীতির খড়্গে হ্রাস পেয়েছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। এর প্রভাব অনিবার্যভাবে পড়েছে আবাসন খাতে। মহামন্দার শিকার হচ্ছে এ খাত। লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের আবাসন খাত মন্দার মুখে পড়ায় দেশের অর্থনীতিতেও এর অপপ্রভাব পড়ছে। রড, সিমেন্ট, বালু, ইট ও টাইলসের মতো ২৭০টির বেশি খাত সরাসির ভবন নির্মাণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। নির্মাণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীতে ফ্ল্যাটের দাম এলাকাভেদে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে এই সময়ে নির্মাণসামগ্রীর দাম গড়ে ৩০ শতাংশের মতো বেড়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাড়তি নিবন্ধন ফি আর করের বোঝা। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি টন রডের দাম ছিল ৬০ হাজার টাকা। পরে দাম বেড়ে ৮২-৮৩ হাজার টাকা হয়। বর্তমানে প্রতি টন রড বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২-৩ হাজার টাকায়। বর্তমানে ৫০ কেজি প্রতি ব্যাগ সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। দুই বছর আগেও যার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এখন প্রতি ট্রাক ৩ হাজার ইট বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায়; যা আগের বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি। একইভাবে দাম বেড়েছে টাইলস, স্যানিটারিওয়্যারের। সবকিছু মিলিয়ে ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় কমেছে ফ্ল্যাটের চাহিদা; যা কমিয়ে দিয়েছে এ খাতের ব্যবসার গতি। বিশেষজ্ঞদের মতে, অর্থনীতির স্বার্থেই আবাসন খাতের মন্দা কাটিয়ে ওঠার উদ্যোগ নিতে হবে। নিবন্ধন খরচ কমানোর পাশাপাশি মানুষ যাতে ফ্ল্যাট কিনতে আগ্রহী হয় তা নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে ঋণদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। অন্নবস্ত্রের পাশাপাশি বাসস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার। আবাসন খাত মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বিষয়টি মনে রেখে এ খাতের বিকাশে সরকারকে সংকট মোচনের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর