ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আড়াই শ কিলোমিটার রাস্তা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ডিজিটাল সার্ভিলেন্স সিস্টেমে আনা হচ্ছে। এর ফলে একদিকে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আসবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক। অন্যদিকে নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করাসহ ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। পর্যায়ক্রমে বাকি মহাসড়কগুলোয়ও কাজ শুরু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে জোরেশোরে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। যেসব মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা থাকবে, সেখানে কোনো গাড়ি আইন অমান্য করলে তার নম্বর প্লেট কন্ট্রোল রুমের সিসি ক্যামেরার পর্দায় ভেসে উঠবে। ফলে ‘অটোমেটিক ডিটেকশন ব্যবস্থা’য় গাড়িগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলার আওতায় আসবে। যাচাইবাছাইয়ের পর মামলার কাগজপত্র চলে যাবে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায়। এসব বিষয়ে তদারকির জন্য প্রতিটি জোনে বসানো হবে আলাদা কন্ট্রোল রুম। ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হওয়ার পর অটোমেটিক নম্বর প্লেট শনাক্তকরণ, যানবাহনের গতিপথ নির্ধারণ, হাইস্পিড ডিটেকশন ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারী যান দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। ক্যামেরা স্থাপিত হলে অন্ধকার ও কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায়ও রাস্তায় চলাচলরত যানবাহনের নম্বর প্লেটের স্পষ্ট ছবি ধারণ ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। শুধু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক নয়, দেশের অন্যসব মহাসড়ককেও নিরাপত্তা বলয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন বন্ধেও নেওয়া হচ্ছে উদ্যোগ। এজন্য চালানো হবে অভিযান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের ফলে অপরাধপ্রবণতায় রাশ টানা সম্ভব হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। দেশের মহাসড়কগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ৭২টি নতুন হাইওয়ে থানার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল অনেকটাই নিরাপদ হবে।
ট্রাফিক আইন ভঙ্গের প্রবণতায়ও রাশ টানা যাবে।