শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েছে

দ্রুত আমদানির উদ্যোগ নিন

পিঁয়াজের ঝাঁজে অস্থির সাধারণ ক্রেতা। ভারত পিঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ ভাগ শুল্কারোপের পরদিনই বাংলাদেশের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। পিঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ভারত পিঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ করেছে সে দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে। ভারতে পিঁয়াজ খুবই স্পর্শকাতর ভোগ্যপণ্য। যে কারণে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে বড় অঙ্কের শুল্কারোপ করা হয়েছে। ভারত সরকারের শুল্ক বাড়ানোর পর বাংলাদেশে ১ কেজিও পিঁয়াজ আমদানি হয়নি। দেশে পিঁয়াজের মজুদও কম নয়। ভারতে শুল্কারোপের খবর শুনেই বাংলাদেশে পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর ঘটনায় একশ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ীর কারসাজিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মাত্র একরাতের ব্যবধানে দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা। আমদানিকারকদের দাবি- মিয়ানমার, মিসর এবং তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আসা শুরু করলে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে পিঁয়াজের বাজার। খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকদের মতে, ভারতের ভেলোরেতে সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজ উৎপাদন হয়। ভারত থেকে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কাসহ কিছু দেশ পিঁয়াজ আমদানি করে। ভেলোরে এবার ব্যাপক বন্যা হওয়ায় পিঁয়াজ উৎপাদন ও মজুদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভারতেই পিঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে। নিজ দেশের সংকট এড়াতে ভারত পরোক্ষভাবে পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, বাংলাদেশ ভারত ছাড়াও মিয়ানমার, চীন, মিসর এবং তুরস্ক থেকে পিঁয়াজ আমদানি করে থাকে। ভারত ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করায় অস্থির হয়ে পড়েছে পিঁয়াজের বাজার। অন্য দেশ থেকে বড় পরিসরে আমদানি হলে স্বাভাবিক হয়ে উঠবে পিঁয়াজের বাজার। অতিবৃষ্টির কারণে দেশে সবজির দাম গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি সাধারণ ভোক্তাদের কষ্ট বাড়াচ্ছে। এ জন্য অনতিবিলম্বে অন্যান্য দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের পিঁয়াজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পিঁয়াজ আমদানিতে মিয়ানমারকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে টিসিবির মাধ্যমে পিঁয়াজ বিতরণের কথা ভাবতে হবে।

সর্বশেষ খবর