বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তির সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ

মহিউদ্দিন খান মোহন

ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তির সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ

বলিউডের প্রখ্যাত পরিচালক শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘নেতাজি সুভাষ বোস : এ ফরগটেন হিরো’ চলচ্চিত্রটি অনেকেই দেখে থাকবেন। কুশলী নির্মাতা বেনেগাল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এ বায়োপিকটি অত্যন্ত যত্নসহকারে নির্মাণ করেছেন। ছবিতে নেতাজির রাজনৈতিক জীবন, গান্ধীজির সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ, বাধ্য হয়ে কংগ্রেস ত্যাগ, ফরোয়ার্ড ব্লক গঠন, ব্রিটিশ সরকারের কোপানলে পড়ে কারাবরণ, সব শেষে গোপনে গৃহত্যাগ করে ভারতবর্ষ ছেড়ে জার্মানিতে গিয়ে ‘শত্রুর শত্রু বন্ধু’-এ তত্ত্বের অনুসরণে এডলফ হিটলারের সাহায্যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের কাহিনি কোনোটাই বাদ যায়নি। ছবিটি যতবার দেখেছি, মুগ্ধ হয়ে ভেবেছি, শ্যাম বেনেগাল কেন নেতাজিকে ‘ফরগটেন হিরো’ অর্থাৎ ‘বিস্মৃত বীর’ বলে আখ্যায়িত করলেন। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে নেতাজি সুভাষ বসুর যে অবদান এবং সব শেষে নিজের জীবন উৎসর্গ করা, তা কী কখনো ভুলে যাওয়ার মতো? ‘হিটলারের সহযোগিতায় সাবমেরিনে চড়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অবতরণ, সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে জাপানে গমন, সেখানে নির্বাসিত নেতা রাসবিহারী বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব গ্রহণ এবং সে ফৌজ নিয়ে ব্রিটিশ-ভারতের আসাম প্রদেশের মণিপুরের ইম্ফল পর্যন্ত বিজয়য়ের ঝান্ডা উড়িয়ে চলে আসা, সে এক শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনি!

ছবিটি দেখতে দেখতে আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছ, আসলেই কি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভুলে যাওয়া বীর? তা কী করে সম্ভব? ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস লিখতে গেলে নেতাজিকে বাদ দিয়ে তা কখনোই সম্ভব নয়। তাহলে কেন শ্যাম বেনেগাল তাঁকে ‘ফরগটেন হিরো’ বললেন? কলকাতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কি তাঁর স্মৃতি বহন করছে না? ইতিহাসের পাতায় পাতায় কি নেতাজির নাম দেদীপ্যমান নয়? তবে এটা ঠিক, স্বাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ভারতবর্ষকে স্বাধীন করতে নেতাজির অনুসৃত পথ সঠিক ছিল কি না সেটা বিতর্ক বিষয়। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীন ভারতে হয়তো তাঁকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি বলেই বেনেগাল তাঁকে ভুলে যাওয়া বীর বলেছেন। আজ ১৮ আগস্ট নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান দিবস। এই দিনেই তিনি জাপানের উদ্দেশে একটি যুদ্ধবিমানে চড়ে রওনা করে রহস্যজনক দুর্ঘটনায় নিহত হন বলে প্রচার করা হয়।  ভারতমুক্তির এ মহাবীরকে অভিবাদন। আসলে দেশমাতৃকার জন্য যারা লড়াই করেন, জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁরা কখনো হারিয়ে যান না। ইতিহাসের পাতায় তাঁরা বেঁচে থাকেন। তাঁদের বীরত্বগাথা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায় ইতিহাসের অংশ হিসেবে। হয়তো কখনো তা পারিপার্শ্বিক নানা কারণে সাময়িকভাবে চাপা পড়ে থাকে। কিন্তু তাঁদের বীরত্বগাথা কখনো হারিয়ে যায় না, তাঁরাও বিস্মৃত হন না। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এমন অনেক বীর রয়েছেন যাদের অনেকের সঙ্গেই আমরা পরিচিত নই। এ দেশকে মুক্ত করার জন্য তাঁরা যে অবদান রেখেছেন নানা ডামাডোলে তা চাপা পড়ে গেছে। নতুন প্রজন্ম তাঁদের নামই হয়তো শোনেনি। তেমনি এক অকুতোভয় বীর নূর মোহাম্মদ (ক্যাপ্টেন বাবুল)। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আগরতলা ‘ষড়যন্ত্র’ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। মামলায় বঙ্গবন্ধু, লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, সার্জেন্ট জহুরুল হকসহ ৩৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ নম্বর আসামি। আগরতলা মামলার ইতিহাস পড়তে গিয়ে এই বীরের নাম জেনেছি অনেক আগেই। কিন্তু তাঁকে মুখোমুখি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এবার সে সুযোগ করে দিল ‘অবারিত বাংলা’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। এ জন্য সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ও বন্ধুবর খান নজরুল ইসলাম হান্নান অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। কেননা, তিনিই বিক্রমপুরের এই কীর্তিমান পুরুষকে খুঁজে বের করেছেন; যিনি এখন বসবাস করছেন ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার নিজ বাড়িতে। গত ১২ আগস্ট লৌহজং উপজেলার চন্দ্রের বাড়ির একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই বীরের সংবর্ধনা সভার আয়োজন করেছিল অবারিত বাংলা। আমন্ত্রিত হয়ে আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ (ক্যাপ্টেন বাবুল) ১৯৩৪ সালের ২ জানুয়ারি বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ব্যবসাসূত্রে ফরিদপুর শহরে স্থায়ী আবাস গড়েন। নূর মোহাম্মদ দশম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকারের ‘জয়েন দ্য নেভি; সি দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানেই তিনি পরিচিত হন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে। নৌবাহিনীতে থাকা অবস্থায় ১৯৫৪ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পড়াশোনা আর এগোয়নি।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘অবারিত বাংলা’র অফিসে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। ওটা কোনো আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার ছিল না, জাস্ট আলাপচারিতা। তাঁর কাছে আমার প্রশ্ন ছিল, নিজের জন্মভিটায় সংবর্ধিত হচ্ছেন, আপনার অনুভূতি কী? বললেন, অনুভূতির কথা সহজ ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তবে একটি কাজের জন্য, যেটার জন্য আমরা গর্বিত, আমাকে আজ আমার জন্মস্থান কুমারভোগে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, এ এক আতিশয় ভালো লাগার ব্যাপার। আমার জন্মস্থানের মানুষ আমাকে সম্মান জানাচ্ছে, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। এ জন্য আমি অবারিত বাংলার প্রতি কৃতজ্ঞ।

জিজ্ঞেস করলাম, আগরতলা মামলায় জড়ালেন কীভাবে? প্রশ্ন শুনে ৯০ বছর বয়সী তরুণ নূর মোহাম্মদ সোজা হয়ে বসলেন। বলতে শুরু করলেন, ‘পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরই দেখলাম, পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করে। তুচ্ছতাচ্ছিল্য, টিটকারি, কটূক্তি ইত্যাদি দ্বারা আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলত। ওদের আচরণে আমরা কমবেশি সবাই ছিলাম ক্ষুব্ধ। নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আমরা প্রায়ই কথা বলতাম। তখন পাকিস্তান নেভির হিমালয় ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বাঙালিদের নেতৃত্ব দিতেন লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সিডিআই সুলতানউদ্দিন আহমেদ, স্টুয়ার্ড মজিবর রহমান, লে. মোজাম্মেল হক এবং আমার। আমরা চিন্তা করে দেখলাম, পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে যে রকম ব্যবহার করে, তাতে ওদের সঙ্গে আমাদের থাকা চলবে না। আমরা পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা, মানে স্বাধীন করার কথা ভাবতে থাকলাম। আমরা ভেবে দেখলাম, এ জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করতে হবে এবং সে জন্য একজন রাজনৈতিক নেতার দরকার, যিনি সমগ্র দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন। আমাদের সামনে দুটি নাম ছিল, মওলানা ভাসানী আর শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা মওলানা ভাসানীর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমাদের উদ্যোগের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। তবে এর নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা একজনেরই আছে, তোমরা তাঁর কাছে যাও। মওলানার ইঙ্গিত বুঝতে আমাদের সমস্যা হলো না। আমরা জানতে পারলাম, শেখ মুজিবুর রহমান করাচি আসবেন এবং সেখানে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মেয়ে আখতার সোলায়মানের লখনৌ হাউসে থাকবেন। লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে সিডিআই সুলতানউদ্দিন আহমেদ, স্টুয়ার্ড মজিবর রহমান ও আমি সেখানে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সঙ্গে দেখা করলাম। আমাদের পরিকল্পনার কথা শুনে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করলেন এবং বললেন, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করব। সিদ্ধান্তের পর গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিরাপত্তার কারণে শেখ মুজিবের কোড নাম রাখা হয় ‘পরশ’। একইভাবে মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম ‘কামাল’, নূর মোহাম্মদ হয়ে গেল ‘সবুজ’, স্টুয়ার্ড মজিবর ‘মুরাদ’, আমির হোসেন ‘উল্কা’ এবং সিএসপি আহমেদ ফজলুর রহমানের নাম হলো ‘তুষার’। পরে পাঁচজনকে নিয়ে গঠিত হয় সুপ্রিম কমান্ড কাউন্সিল। ১৯৬৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লাহোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা পেশ করার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের সরকারি বাসভবনে তাঁর সঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেনের গোপন বৈঠক হয়। ১৯৬৬ সালের জুন মাসে গ্রেফতার হন শেখ মুজিব। সবখানেই দু-একজন বিশ্বাসঘাতক থাকে। আমাদের মধ্যেও ছিল। ‘উল্কা’ ছদ্মনামের আমির হোসেন আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমরা একে একে সবাই গ্রেফতার হয়ে যাই। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন আইয়ুব সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামি করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ মামলা রুজু করে। তার পরের ইতিহাস তো আপনারা জানেন। বললাম, হ্যাঁ জানি। কারণ আমি আপনাদের মুক্তি দাবি করে মিছিল করা সে সময়ের এক বালক। একটু হেসে বললেন, আপনারা হলেন ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী। তাঁর কথা শেষ হতেই বললাম, আপনি সেই ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি। নূর মোহাম্মদ সাহেব মুক্তিযুদ্ধে মেজর জলিলের নেতৃত্বে ৯ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন।

মেজর জলিল, তাঁর বীরত্ব ও সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে সম্বোধন করতেন ‘ক্যাপ্টেন’ বলে। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমার প্রশ্ন ছিল, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে আপনারা দেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন, তা কী পূর্ণ হয়েছে? একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের এ জীবন্ত কিংবদন্তি বললেন, ‘দুঃখটা সেখানেই। আমাদের কেন, পুরো জাতির সে স্বপ্নের অনেকটাই অপূর্ণ রয়ে গেছে। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে হত্যার ফলে আমাদের দিকভ্রান্তি ঘটেছে, অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। আমরা যতটুকু পথ যাওয়ার কথা ছিল আমরা যেতে পারিনি’। তাঁর প্রতি আমার শেষ প্রশ্ন ছিল, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেননি? বললেন, ‘অনেকবার দেখা করেছি। তিনি বলতেন, তুই কী চাস, তোর কী লাগবে বল। আমি তাঁকে বলেছি, আমার কিছু লাগবে না। আমাকে আল্লাহতায়ালা যা দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। তবে আমি চাই, আমাদের এ দেশটা ভালো চলুক। যে স্বাধীন দেশের জন্য আপনি জেল খেটেছেন, মৃত্যুর দুয়ার থেকে ঘুরে এসেছেন, সেই দেশটা ভালো চলুক’। বঙ্গবন্ধু আমার পিঠ চাপড়ে বলেছিলেন, ‘সবাই মিলে এই দেশটাকে সোনার বাংলা বানাব। কিন্তু ঘাতকের বুলেট সবকিছু স্তব্ধ করে দিল।’ বলেই চুপ করে রইলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ ওরফে ক্যাপ্টেন বাবুল।  এ সময় উদ্যোক্তাদের একজন এসে বললেন, সংবর্ধনা সভা শুরু হবে। আমরা সবাই সেখানে গেলাম।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অবারিত বাংলার চেয়ারম্যান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।  অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কে এম নজীব, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি মো. জয়নাল আবেদীন, লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গণি তালুকদার, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রশীদ সিকদার, অবারিত বাংলার ভাইস চেয়ারম্যান অলক কুমার মিত্র, নির্বাহী পরিচালক খান নজরুল ইসলাম হান্নান প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর অন্যরকম এক ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে ফিরে এলাম।  ভাবছিলাম, এ দেশে কতজনের নামেই তো কিছু হয়েছে। বীরযোদ্ধা নূর মোহাম্মদের নামে কি একটি সড়ক বা স্থাপনার নামকরণ করা যায় না?

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর