দেশের সবচেয়ে প্রশস্ত ও দৃষ্টিনন্দন সড়ক পূর্বাচল ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের আগেই সেখানে দখলস্বত্ব কায়েম করেছে হকার ও গাড়ি পার্কিংকারীরা। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে কাঞ্চন সেতুতে যাওয়ার মাঝখানে অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে সকাল পৌনে ১০টা থেকে বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত পার্কিং করে থাকে শত শত গাড়ি। ফলে পুরো এক্সপ্রেসওয়ে ফাঁকা থাকলেও স্কুলের সামনের যানজটে যানবাহন চালকরা ভোগান্তির মুখে পড়ছে। আধা কিলোমিটার সড়ক পার হতে লাগছে আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা। বিশেষত সকালে স্কুল শুরু ও বিকালে ছুটির সময় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ছুটি হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের নিতে আসা ব্যক্তিগত গাড়িগুলো দু-তিন সারিতে সড়কে পার্কিং করে রাখায় ভোগান্তিতে পড়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীরা। এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, কয়েক শ প্রাইভেটকার অবৈধভাবে সড়কটি দখল করে রাখলেও দেখার কেউনেই। এত বড় পরিসরে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হলেও শিক্ষার্থীদের পিক ও ড্রপ পয়েন্ট কিংবা গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এভাবে সবার চোখের সামনে দখল হয়ে গেলেও দেখার কেউ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পূর্বাচল ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে সড়কটির দুই পাশের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে চটপটি, ফুচকা, আইসক্রিমের টং দোকান। হকারদের দখলে চলে যেতে বসেছে এক্সপ্রেসওয়ের দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত। ফুটপাতের কাজ এখনো কিছুটা বাকি। কাজ শেষের আগেই শুরু হয়েছে দখলের উৎপাত। স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেছেন, স্কুলবাস থাকলে ব্যক্তিগত গাড়িতে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তে আসে শিক্ষার্থীরা। তাদের নামিয়ে রাস্তায় পার্কিং করে রাখা হয় গাড়ি। ফলে স্কুলের সামনে যানজট অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। পূর্বাচল ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ে দেশের একমাত্র ১৪ লেনের সড়ক। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। তবে উদ্বোধনের আগে রুখতে হবে সড়ক অপদখলের কর্মকান্ড।