বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিয়ন্ত্রণহীন ক্রিপটোকারেন্সি

অর্থ পাচারের মাধ্যম হয়ে উঠেছে

ক্রিপটোকারেন্সির অবৈধ লেনদেন দেশের অর্থনীতির সর্বনাশ ডেকে আনছে। দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বিপুল অর্থ। প্রতারণার শিকার হয়ে নিজেদের সর্বস্ব হারানো লোকজনও কম নয়। রাশিয়া ও দুবাইয়ে ক্রিপটোকারেন্সির ব্যবহার বৈধ হওয়ায় সেখানে বসে চালানো হচ্ছে প্রতারণার ব্যবসা। ই-কমার্সের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারা হাজার হাজার লোক প্রতারিত হওয়ার পরও মনে হচ্ছে কারও শিক্ষা হয়নি। এমটিএফই নামের একটি প্রতিষ্ঠান বিপুলসংখ্যক মানুষকে পথে বসিয়ে উধাও হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হতো দুবাই থেকে। আইএমএফের পলিসি পেপারসে দ্রুত সম্প্রসারণশীল বাজার এবং লেনদেনকারীর পরিচয় গোপন রাখার সুযোগ থাকায় ক্রিপটোকারেন্সিতে লেনদেন কোনো ধরনের করব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। এখনো এর ব্যবহার অনেক সীমিত। তবে যত ব্যাপকতা পাবে, একে যথাযথভাবে করব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা ততই কঠিন হয়ে পড়বে। বিভিন্ন দেশের কর-রাজস্ব ব্যবস্থার কার্যকারিতা ধরে রাখার পথে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে ক্রিপটোকারেন্সি। এনক্রিপশন অ্যালগরিদমে তৈরি ক্রিপটোকারেন্সি নামের ডিজিটাল মুদ্রার ওপর কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির উপায় বের করতে পারেননি বৈশ্বিক আর্থিক খাতের হর্তাকর্তারা। এর পরও অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বড় হচ্ছে ক্রিপটোকারেন্সির বাজার। এমটিএফইয়ের প্রতারণা নিয়ে কাজ করছেন সিআইডির এমন এক সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই ও রাশিয়ায় বৈধভাবে এই ব্যবসা থাকায় অনেক বাংলাদেশি এতে জড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অতি লোভের আশায় এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে এখন হায় হায় করছে। বাংলাদেশে কালো টাকার মালিকের সংখ্যা বিপুল। অসৎ রাজনীতিক, আমলা, সরকারি কর্মচারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের অর্জিত অবৈধ অর্থ ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে পাচার করছে। ফলে ফোকলা হয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। গত এক বছরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম শতকরা ২৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আর অর্থ পাচারে যেহেতু ক্রিপটোকারেন্সি বড় ভূমিকা রাখছে সেহেতু সরকারকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর