বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৈদ্যুতিক গাড়ি

পরিবেশবান্ধব, খরচও কম

বৈদ্যুতিক গাড়ির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ৫০টির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলছে বাংলাদেশের রাস্তায়। দেশের মোট গাড়ির তুলনায় এটি উল্লেখ করার মতো সংখ্যাই নয়। তবে বিশ্বের যে ২৭টি দেশ বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ইভি কার নির্মাণে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকায় স্থাপন করা হয়েছে ইভি চার্জিং স্টেশন। আগামী বছরের মধ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরও বেশ কয়েকটি চার্জিং স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি একবার চার্জ দিলে চালানো যায় ৩০০ কিমি পর্যন্ত। ইলেকট্রিক গাড়ি সামান্য বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে। এ গাড়ি চালাতে কোনো ফুয়েল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় না। এগুলো কার্বন নিঃসরণ করে না। ফলে বায়ুদূষণ হয় না। এর সুবিধা হচ্ছে, ইঞ্জিনের গাড়ির চেয়ে এগুলো ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সাশ্রয়ী। বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম যেমন বাড়ছে, একই সঙ্গে এর মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এ জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে ইভি কারের দিকেই হাঁটতে হবে। একটি ইভি কার পরিপূর্ণ চার্জ দিতে ১ হাজার টাকার কম খরচ হয়। আর এই পরিমাণ অর্থে একটি ইভি কার ৩০০ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু এই দূরত্ব অতিক্রম করতে একটি তেলচালিত ইঞ্জিন গাড়ির প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এ হিসেবে ইভি কার বেশ সাশ্রয়ী। এই গাড়ি চার্জের জন্য বাসায় যেমন চার্জিং সেটআপ করা যাবে, একই সঙ্গে দ্রুত চার্জের জন্য ব্যবসায়িক চার্জিং স্টেশন থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে চার্জিং স্টেশনে চার্জ দেওয়ার ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের চার্জিং স্টেশনে অনেকে নিজের গাড়ি ফাস্ট চার্জ করে নিচ্ছেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ‘ইলেকট্রিক মোটরযান নিবন্ধন ও চলাচল-সংক্রান্ত নীতিমালা’ তৈরিও করেছে। তবে গোটা বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ির দাম অনেক কম থাকলেও বাংলাদেশে এখনো এ গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ ইমপোর্ট ডিউটি দিতে হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ি যেহেতু পরিবেশবান্ধব সেহেতু এর আমদানি শুল্ক সহনশীল মাত্রায় আনতে হবে। দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদনও হবে একটি ভালো উদ্যোগ। এ বিষয়ে উদার নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর