শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ আমদানি

দায়িত্বটা টিসিবিকে দিন

পিঁয়াজের ঝাঁজ কমাতে ভারতসহ ১০টি দেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। তবে আমদানির অনুমতি দিলেই যে পিঁয়াজের দাম কমবে এমনটি ভাবলে আহাম্মকের স্বর্গে বাস করা হবে। কারণ এর আগে ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও তার এক-তৃতীয়াংশই কেবল আমদানি করা হয়েছে। ফলে দেশে পিঁয়াজের দাম যতটা কমার কথা ছিল ততটা কমেনি। ভারত থেকে যে দামে আমদানি করা হয়েছে তার দ্বিগুণ দামে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বাংলাদেশে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পিঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। এতে দেশের বাজারে তেতে ওঠে পিঁয়াজের দাম। দেশি পিঁয়াজের সঙ্গে আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজের দামও বাড়তি। কেজিতে ১৫-২০ টাকা বাড়তি হওয়ায় নিত্য এই পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ভারতসহ ১০ দেশ থেকে পিঁয়াজ আমদানির। সম্প্রতি পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির কথা জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী। এরপর থেকেই আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। কৃষি মন্ত্রণালয়ের গতকালের সর্বশেষ তথ্যে ভারতসহ ১০ দেশের মধ্যে চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ টন, মিসর ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার ২০০ টন, থাইল্যান্ড ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অঙ্কের হিসাবে ১০টি দেশ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও দূরের দুটি দেশ থেকে ৪ ও ৩ টন পিঁয়াজ আনার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করতে হবে। পিঁয়াজ আমদানির যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা যাতে দ্রুত আনা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজনে টিসিবির মাধ্যমে আমদানির সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। যেভাবেই হোক দাম নিয়ন্ত্রণ সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর