রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই ছবি কারা ধ্বংস করল

নঈম নিজাম

বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই ছবি কারা ধ্বংস করল

ঝরঝর করে কাঁদছিলেন দৈনিক বাংলার গোলাম মাওলা। তিনি একজন আলোকচিত্র সাংবাদিক। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে অনেক খবরের ছবি তুলেছেন। প্রশংসা পেয়েছেন। ছবি তুলতেন পেশাগত দায়িত্ব পালনে। আবার কখনো নিজের মনের আনন্দে। শুধু একবার বাধ্য হয়ে ছবি তুলেছিলেন। আদেশ-নির্দেশে সেই ছবি তুলতে হয়েছিল। ১৫ আগস্ট সকালে তাঁকে যেতে হয়েছিল ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। জাতির পিতার রক্তাক্ত লাশের ছবি তোলেন তিনি। গোলাম মাওলা কল্পনাও করেননি তাঁকে এ ছবি তুলতে হবে। দেখতে হবে শিশু রাসেল আর বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছবি। কাছের একজন মানুষ জিল্লুর রহিমের কাছে তিনি তুলে ধরেন সবকিছু।

দৈনিক বাংলা অফিসের সামনে ১৫ আগস্ট সেনা সদর দফতরের একটি জিপ এসে থামে। সেনাবাহিনীর লোকজন তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। সেনা অফিসারদের সঙ্গে তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। প্রবেশমুখে দেখেন পড়ে আছে দুজন রক্ষীর লাশ। এ দুজনের একজন পুলিশের সিদ্দিকুর রহমান। তিনি জীবন দিয়েছেন জাতির পিতাকে রক্ষা করতে। শেখ কামালের লাশ দেখে চমকে ওঠেন গোলাম মাওলা। বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অবিশ্বাস্য চোখে আবারও তাকালেন বঙ্গবন্ধুর পুত্রের দিকে। ১৯৭১ সালে শেখ কামাল জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। একজন সেনা কর্মকর্তা হিসেবে জেনারেল ওসমানীর এডিসি ছিলেন। গোলাম মাওলার মনে পড়ল কয়েক দিন আগে শেখ কামালের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সব সময় হাসিখুশি। অনুষ্ঠানে গোলাম মাওলাসহ কয়েকজন ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে এসে কথা বলেন। অজানা আতঙ্কের দৃষ্টিতে শেখ কামালের লাশের দিকে তাকাতেই একজন সেনা সদস্য তাগাদা দিলেন, কী হলো ছবি তুলুন। আপনাকে ছবি তুলতে আনা হয়েছে, তাকিয়ে থাকতে নয়। এবার গোলাম মাওলা ক্যামেরা তাক করলেন। ছবি তুললেন শেখ কামালের রক্তাক্ত দেহের। তারপর সামনের দিকে গেলেন এগিয়ে।

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে অনেকবার এসেছিলেন গোলাম মাওলা। আজকের আগমন অন্যদিনের মতো নয়। অন্যদিন থাকত কোলাহলমুখর। আজ শুনসান নীরবতা, রক্ত আর বারুদের গন্ধ। নিজের নিঃশ্বাসের শব্দে চমকে উঠতে হয়। দুই ঘণ্টা আগেও কল্পনা করতে পারেননি তাঁকে ইতিহাসের ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার ছবি তুলতে হবে। সিঁড়ির কাছে গিয়ে রক্তাক্ত জাতির পিতাকে চিনতে পারলেন গোলাম মাওলা। চোখ ঝাপসা হলো। তার পরও ছবি তুললেন। দোতলায় গেলেন। একের পর এক ক্লিক করলেন। খুনিদের নিষ্ঠুরতা আর বর্বরতার সব চিহ্নের ছবি তুললেন। ছবি তোলা শেষ করে নিচে নেমে এলেন।

গোলাম মাওলা কীভাবে ছবি তুলতে এলেন? সরকারি পত্রিকায় কাজ করতেন। তাঁকে কারা নিয়ে এলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে? খুঁজতে গিয়ে জানলাম, সেনা সদর থেকে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর নামে একজন কর্মকর্তা দৈনিক বাংলা অফিসে আসেন। তিনি কাজ করতেন সিগন্যালসে। দৈনিক বাংলা অফিসে গিয়ে জানালেন তার একজন ক্যামেরাম্যান দরকার। একজন দেখিয়ে দিলেন ক্যামেরাম্যান গোলাম মাওলাকে। তখন পত্রিকা অফিসে কাজ হতো সকাল অবধি। কর্নেল মোখলেসের নির্দেশে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর ক্যামেরাম্যান নিয়ে ছবি তুলেছেন। সেই ছবি জমা দিয়েছেন ঊর্ধ্বতনদের কাছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্যাপ্টেন বাশার। বিটিভি থেকে একজন ক্যামেরাম্যানকে বাশার নিয়ে আসেন। ধানমন্ডিতে কাজ শেষ করে দৈনিক বাংলায় আবার ফিরে আসেন তাঁরা। দৈনিক বাংলার ডার্করুমে ছবিগুলো ডেভেলপ করা হয়। ছবি ডেভেলপ করার সময় দুজন সেনা সদস্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁরা ডেভেলপ করা সব ছবি ও নেগেটিভ নিয়ে নেন। সেনা সদস্যরা চেক করেন আর কোনো ছবি রয়ে গেছে কি না। গোলাম মাওলা কোনো কিছু রেখে দিলেন কি না। এ কারণে গোলাম মাওলা ছবি তুললেও কোনো ছবি প্রকাশ হয়নি। পরে প্রকাশের জন্য তিনি রাখতে পারেননি ছবির নেগেটিভ ও কোনো প্রিন্ট কপি। সব তুলে দিতে হয়েছিল। ফটো তোলা ও তাঁর হাতে রিল দেওয়া নিয়ে লিখেছেন ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন। যিনি পরে নির্বাচন কমিশনার হয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘গেটের বাইরে গাড়ি রাখতে হলো। কারণ গেটের ভিতরে গাড়ির গ্যারেজ এত স্বল্প পরিসরে যে আরেকটা গাড়ি রাখা বেশ অসুবিধাজনক। জিপ থেকে নেমে সোজা ভিতরে ঢুকতেই পোড়া বারুদের গন্ধ আমার নাকে এসে লাগে। গ্যারেজের পাশ কেটে বাড়ির ভিতরে প্রবেশমুখে খুবই পরিচিত একজন অফিসার ক্যাপ্টেন বাশার (প্রয়াত লে. কর্নেল) সহাস্যে এগিয়ে এসে আমার হাতে ফিল্মের তিনটি রোল তুলে দিলেন। দেখলাম, একটি বিটিভির আর দুটি স্টিল ফিল্ম-একটি ইত্তেফাক আরেকটি দৈনিক বাংলার ক্যামেরাম্যানের তোলা। এ ছবিগুলো তখন কীভাবে তোলা হলো, জানতে চাইলে ওই অফিসার আমাকে জানালেন, অভ্যুত্থানের পরপরই এই তিন সংস্থার তিন ক্যামেরাম্যানকে ডেকে নিয়ে এসে বাড়ির ভিতরের ফটো তুলতে বলা হয়েছিল। পরে অজ্ঞাত কোনো কারণে এগুলো তাদের নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। কারণটা আমাকে আর জিজ্ঞেস করতে হয়নি। আমি নিজেই বুঝতে পারলাম এগুলো নিয়ে যেতে বারণ করা হয়েছিল।’

ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত সেই ছবিগুলো কী করেছেন তা নিয়ে বিস্তারিত লেখেননি। তবে তখনকার অনেক সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করেছি। তাঁরা বলেছেন, খন্দকার মোশতাক ও পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিভিন্ন আলামত ধ্বংস করে দেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় খুনিদের সব নৃশংসতা, বর্বরতার চিহ্ন। ফটোসাংবাদিক গোলাম মাওলার তোলা ছবিগুলো আর পাওয়া যায়নি। বিটিভির ভিডিও ফুটেজও নষ্ট করে দেওয়া হয়। শুধু সাপ্তাহিক খবর (পরে দৈনিক) প্রকাশ করেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত ছবিটি। খবর সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুর পক্ষে লেখালেখি করতেন। তাঁর লেখা ‘আমি রাসেল বলছি’ বইটি সাপ্তাহিক খবরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ কর্মীরা বিষাদ সিন্ধুর মতো ধারাবাহিকটি পড়তেন। মিজানুর রহমান মিজান অনেক দিন আগে বলেছিলেন, ছবিটি তাঁকে একজন সেনা কর্মকর্তা দিয়েছিলেন। বলেছেন, সব ছবি ধ্বংস করা হয়েছে। এটি কোনোভাবে লুকিয়ে এনেছেন। সেনা কর্মকর্তা তাঁর নামটি প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন খবর সম্পাদককে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই জিয়া জমানায় ছবিটি প্রকাশ করেন মিজানুর রহমান মিজান।

খবর পত্রিকাকে ছবি কে দিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাব জানতে কথা বলেছিলাম গোলাম মাওলার ঘনিষ্ঠ একজন ব্যবসায়ী ও নেশন টুডে পত্রিকার (এখন প্রকাশিত হয় না) সম্পাদক জিল্লুর রহিম দুলালের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর অফিসে দৈনিক বাংলার ক্যামেরাম্যান গোলাম মাওলা আসতেন। তাঁকে মাঝে মাঝে ছবি দিতেন। মাঝে মাঝে দুলালের দামি ক্যামেরা ধার নিয়ে ছবি তুলতেন। আবার ফেরত দিতেন। জিল্লুর রহিম জানান, মাওলা ভাইয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো ছিল। মাঝে মাঝে মাওলা ভাই আমার সদ্য কেনা ক্যামেরা ধার নিতেন। আগস্টের শুরুতে মাওলা ভাই এলেন। বললেন, তোমার ক্যামেরাটি দাও। আমারটি যন্ত্রণা দিচ্ছে। ঠিক করতে হবে। তিনি আমার ক্যামেরা নিলেন ছবি তুলতে। ১৫ আগস্ট ভয়াবহতার দুই দিন পর মাওলার কাছে যাই ক্যামেরা ফেরত আনতে। দৈনিক বাংলা অফিসে বিষণœ মনে ছিলেন মাওলা। তিনি আমার ক্যামেরা ফেরত দেন। কেমন আছেন জানতে চাইলে জানান, ভালো নেই। একটা খারাপ সময় কাটাচ্ছি। ১৫ আগস্টের ছবি তোলার পর থেকে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়। ঘুমালে চোখের সামনে রক্ত দেখি।

গোলাম মাওলা ধীরে ধীরে জিল্লুর রহিমের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করেন। মাওলা জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে ছবি তোলার পর দৈনিক বাংলা ল্যাবে তাঁকে আবার নিয়ে যায় আর্মি। তারা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে সব ছবি ডেভেলপ করে। জিল্লুর রহিম জানতে চান, আপনি কি কোনো ছবি রাখেননি? জবাবে তিনি জানান, রাখার পরিবেশ ছিল না। ছবি বুঝে নেওয়ার পর তারা ডার্করুম সার্চ করেছিল। রাখলে মারা পড়তাম। সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর ও বাশার তাঁকে বলেন, এই ছবি আপনার কাছে না রাখাই ভালো। আমরাও রাখব না। অভিশপ্ত ছবি ও রিল জমা দিয়ে দেব ঊর্ধ্বতনদের কাছে।

মেজর জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিভিন্ন সময় এ নিয়ে কথা বলেছিলাম। গোলাম মাওলাকে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিয়ে যান। সিগন্যালসের কর্মকর্তা মেজর জাহাঙ্গীর পরে এরশাদের সামরিক সচিবালয়ে ছিলেন। অবসর নিয়ে টেলিকমের ব্যবসা করতেন। তিনি বলেছেন, সেনা সদরের নির্দেশে তাঁকে স্টিল ছবি তুলতে যেতে হয়েছিল। তিনি দৈনিক বাংলার ফটোগ্রাফার গোলাম মাওলাকে নিয়ে যান তাঁর অফিস থেকে। তাঁর সঙ্গে আরেকজন অফিসার একই নির্দেশে বিটিভির ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে আসেন। তাঁর নাম ক্যাপ্টেন বাশার। বিটিভির ক্যামেরাম্যানকে তিনি নিয়ে যান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। তৃতীয় কোনো ক্যামেরাম্যান সম্পর্কে তিনি কোনো কিছু বলেননি। তবে জিল্লুর রহিম বলেন, তৃতীয় ক্যামেরাম্যান কোনো পত্রিকার লোক ছিলেন না। কবি জসীমউদ্দীন তখন পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁর ছেলে কামাল ছিলেন শৌখিন ক্যামেরাম্যান। দৈনিক বাংলা থেকে আর্মিরা ধানমন্ডি যাওয়ার পথে এক যুবককে ক্যামেরা হাতে দেখেন। সেই যুবকের নাম কামাল। তারা তাঁকে পত্রিকার ফটোগ্রাফার মনে করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিয়ে যান। তাঁকে দিয়েও ছবি তোলান। সেই ছবির রিল তারা নিয়ে নেন। কাউকে ছবির রিল নিতে দেওয়া হয়নি।

ইত্তেফাকের ক্যামেরাম্যান আফতাব আহমেদ বা অন্য কেউ ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট গিয়েছিলেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে জিল্লুর রহিম বলেন, গোলাম মাওলা তাঁকে তৃতীয় কোনো পেশাদার ক্যামেরাম্যানের উপস্থিতির কথা বলেননি। ক্যামেরাম্যান কামরুজ্জামান, আফতাব আহমেদ, বাবু বাইরের দৃশ্যপটের ছবি তুলেছিলেন। রাজপথে সেনা ট্যাংক, খন্দকার মোশতাকের ট্যাংক মিছিল, শপথ, বেতার ভাষণ, মুহূর্তে সবার বদলে গিয়ে আনুগত্য প্রকাশের ছবি অনেকে তুলেছেন। রক্তাক্ত ছবিগুলো ছিল গোলাম মাওলার। এর মধ্যে শুধু একটি ছবি প্রকাশ পেয়েছে। খবরে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিটি সম্পর্কে মেজর জাহাঙ্গীর বলেছেন, তিনি কোনো ছবি রাখেননি। রিলও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। দৈনিক বাংলায় ছবি ডেভেলপের পর তিনি আর নিতে পারছিলেন না সবকিছু। লাশের সারি দেখার পর তাঁর ভিতরটা মুষড়ে ওঠে। রক্তাক্ত দৃশ্যপট অসহ্য লাগছিল। তিনি দিশাহারার মতো ছবি ও রিল অন্য সহকর্মীর কাছে রেখে বাড়ি চলে যান। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের শেষ দিকে সেসব ছবি ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। পাশাপাশি কেউ একজন একটি ছবি পৌঁছে দিয়েছেন খবর সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে। জাহাঙ্গীরকে প্রশ্ন করেছিলাম কোথা থেকে কার নির্দেশ পেয়েছিলেন ক্যামেরাম্যান নিয়ে যাওয়ার? তিনি বলেন, আমি সিগন্যালসের অফিসার ছিলাম। ওয়্যারলেসে বিভিন্ন ধরনের কথোপকথন মনিটরিং করতাম। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক সালাহ উদ্দিনকে সব অবহিত করতাম আমরা। খুনিদের ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরোনোর খবরও সিগন্যাল থেকে এমআইকে জানানো হয়েছিল। সকালে সেনা সদরের নির্দেশে ক্যাপ্টেন বাশারসহ ক্যামেরাম্যান নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়েছিলাম। জাহাঙ্গীর জানিয়েছিলেন, ছবির বিষয়গুলো সম্পর্কে কর্নেল মোখলেসও জানতেন। পরে কর্নেল মোখলেস একান্ত সচিব হয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের। ছবি কারা ধ্বংস করেছিল এ নিয়ে জাহাঙ্গীর বিস্তারিত কিছু বলতে পারেননি। তবে তিনি ১৫ আগস্ট নিয়ে আরও বলেন, তারা ছবি তুলতে শেখ মণির বাড়িতেও ক্যামেরাম্যান পাঠিয়েছিলেন। আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতে কেউ ছবি তুলেছিল কি না? জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ তোলা হয়েছিল। সব ছবিই সেনা সদরে জমা ছিল এমআই অফিসে। তারপর কারা কী করল কিছুই জানি না।

 

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর