রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাজধানীর সড়ক

যাচ্ছেতাই অবস্থা প্রত্যাশিত নয়

বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর অধিকাংশ সড়কের হতশ্রী চেহারা যেন সাংবার্ষিক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিচঢালা পথে ঘন বর্ষায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে উঠে গেছে পিচ। সৃষ্টি হয় ছোটবড় গর্ত। যানবাহন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। এ ক্ষেত্রে প্রধান সড়ক ও গলিপথের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য থাকে না। রাজধানীর সিপাইবাগ বাজার-গোরান বাজার সড়কের চালচিত্র অভিন্ন। ব্যস্ত বাবুবাজার সড়কে বড় বড় গর্ত হওয়ায় যানবাহন চলে হেলেদুলে। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ গেন্ডারিয়া নতুন সড়কও খানাখন্দে ভরা। যাত্রাবাড়ী-কুতুবখালী সড়কের ১ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং, পিচ, পাথর, সুরকি উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটির সংস্কার শুরু হলেও কাজের ধীরগতিতে দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। একই অবস্থা গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকড্রাইভ সড়কে। সড়কটি ২০১৮ সালে সংস্কার করা হয়। এরপর পাঁচ বছরে আর এখানে হাত দেওয়া হয়নি। পুরো সড়কেই ছোটবড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও গর্ত এমন বড়, বৃষ্টি হলে সেখানে ডোবার মতো দেখায়। লেকড্রাইভ সড়কের মরিয়ম টাওয়ার থেকে গুদারাঘাট পর্যন্ত অবস্থা খুবই শোচনীয়। সড়কটি এক বছরে খানাখন্দে ভরে গেছে। অনেক জায়গায় বড় গর্তও হয়েছে। যেখানে প্রায়ই রিকশা উল্টে যায়। প্রাইভেট কার গর্তে পড়ে যায়। ওই গাড়ির বডির বিভিন্ন অংশ ভেঙে যায়। একই অবস্থা মেরুল বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির। সড়কটির মেইন রোড থেকে পাঁচ তলা কাঁচাবাজার পর্যন্ত অংশে অসংখ্য খানাখন্দ। একটু বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে হাঁটুপানি জমে যায়। ডিআইটি ৪ নম্বর সড়ক ও বাজার রোডেরও একই অবস্থা। মাদারটেক-খিলগাঁও সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে অসংখ্য ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও বড় গর্ত। বেটার লাইফ হাসপাতাল থেকে দক্ষিণ বনশ্রী টেম্পো স্টেশন সড়ক বেহাল। রাজধানীর সড়ক বেহাল হওয়ার অন্যতম কারণ বছরজুড়ে খোঁড়াখুঁড়ি। খোঁড়াখুঁড়ি ও সংস্কার উভয় ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও শেষোক্ত ক্ষেত্রে চলে কার্পণ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনোভাবে ভরাট করেই দায়িত্ব সারা হচ্ছে। রাজধানীর সড়কপথের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই যাচ্ছেতাই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর