বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

কষ্টে আছে মানুষ

নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি রুখতে হবে

বাজারে ডিম, পিঁয়াজ, আদা, রসুনের গায়ে যেন আগুন লেগেছে। মহাবিক্রমে দাম বেড়েছে প্রতিটি নিত্যপণ্যের। রোজার সময় সাধারণত পিঁয়াজের দাম থাকে ঊর্ধ্বমুখী। এ বছরের রোজায় এ পণ্যটি বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি। হঠাৎই তার দাম এখন ৮০-৯০ টাকা। রসুনের দামও বেড়েছে বেপরোয়াভাবে। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৬০ টাকা। এক কোয়ার দেশি রসুনের কেজি ৩০০ টাকা। দেশি আদা ৩০০ টাকা। গত বছর এই সময়ে যা ছিল ৪০ টাকা কেজি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা জিরার কেজি এখন ১ হাজার ২৫০ টাকা। গত বছর এই সময়ে যার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। হঠাৎ পিঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরার দাম বৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে। প্রতিটি পণ্যের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ায় মানুষ চোখে শর্ষে ফুল দেখছে। কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকায় ঠেকেছে। শুকনো মরিচ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ডিম, দুধ, মাছ, তরিতরকারি, মাংস সবকিছুর দাম চলে যাচ্ছে মানুষের নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এ বছর খরার কারণে মরিচের উৎপাদন অর্ধেকেরও কম। রসুন ও আদার উৎপাদনও মার খেয়েছে। সন্তোষজনক উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ভারত পিঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায়। আলুর দাম বেড়ে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চার মাস আগের চেয়ে এ দাম দ্বিগুণ। নিত্যপণ্যের মূল্য বেপরোয়াভাবে বাড়লেও সাধারণ মানুষের আয় না বাড়ায় তারা পড়েছে বিপাকে। ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম। সরকারি হিসাবেই দেশে যে হারে মজুরি বৃদ্ধি পাচ্ছে তার চেয়ে বেশি হারে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর প্রভাবে সাধারণ মানুষ তার খাবারের তালিকা ছোট করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে, যেখানে কাটছাঁটের সুযোগ খুবই কম। দেশের মানুষের আস্থা ধরে রাখতে কীভাবে মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া থামানো যায়, সরকারকে সে ব্যাপারে তৎপর হতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর