বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

রক্ষণাবেক্ষণে চাই সদাসতর্কতা

যানজটের নগরী ঢাকার যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ২ সেপ্টেম্বর এই উড়ালপথের একাংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এতে কমবে যানজট, সাশ্রয় হবে মূল্যবান কর্মঘণ্টা। এই উড়ালপথ ব্যবহার করে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা নিতে যানবাহন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল। যানজট এড়াতে উন্নত বিশ্বে পরীক্ষিত যোগাযোগব্যবস্থা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ ধরনের সড়কে বিরামহীনভাবে গাড়ি দ্রুতগতিতে চলে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চলবে অন্তত ৮০ কিলোমিটার গতিতে। এ উন্নয়ন প্রকল্পের বাকি অংশের (তেজগাঁও-কুতুবখালী) জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর পর্যন্ত। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১-এর জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। ১২ বছরে এ প্রকল্প সংশোধন হয়েছে পঁাঁচবার। ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার গুণ। প্রকল্পের পুরোটা চালু হলে দিনে অন্তত ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করবে নির্বিঘ্নে। ২৪ কিলোমিটার উড়ালপথে থাকবে না কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল। এতে বদলে যাবে ঢাকার দৃশ্যপট। এ প্রকল্প পুরোটা চালু হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় না ঢুকে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করবে। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলোও ঢাকাকে পাশ কাটিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। ফলে ঢাকা ও পাশের এলাকার যানজট কমবে। কমবে ভ্রমণের সময়, খরচ। সবই আশাপ্রদ বিষয়। তবে মনে রাখা চাই,  রক্ষণাবেক্ষণে যেন ন্যূনতম অবহেলা না ঘটে।

সর্বশেষ খবর