শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

উত্তরাঞ্চলে বন্যার পদধ্বনি

চাই দ্রুত বাঁধ সংস্কার

উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসছে পাহাড়ি ঢল। এতে ফুঁসে উঠছে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। তিস্তার পাড়ে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলার বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচাসহ তিস্তার তীরবর্তী এলাকার কমপক্ষে ১৭ পয়েন্টে শুরু হওয়া এ ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসতভিটা। হুমকিতে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। গাইবান্ধায় নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তরিতরকারি, শাকসবজি, বীজতলা, সদ্য রোপিত রোপা আমন পানিতে তলিয়ে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ইউনিয়নের সম্পূর্ণ এবং হাটশেরপুর, সদর, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কামালপুর ইউনিয়নের ১২২টি চরের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। জামালপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে চিলমারী পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর ভাটিতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের অনেকের বাড়িঘরে পানি থাকায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে। কাঁচা সড়কে পানি উঠে সেখানকার বাসিন্দাদের চলাচল বিঘিœত হচ্ছে। কেউ কেউ কলাগাছের ভেলায় চড়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। বন্যাকবলিত অঞ্চলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক, শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ ধরনের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

নদীভাঙন অঞ্চলের বাঁধ দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। নইলে বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে।

সর্বশেষ খবর