শিরোনাম
শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে রেকর্ড

মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চাঙা হয়ে উঠেছে। তার সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। দেশটিতে গত এক বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোটা পাওয়া ৪ লাখ ৫৭ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪ লাখের বেশি কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ চিত্র আশাব্যঞ্জক। প্রথমদিকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে ধীরগতি থাকলেও গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ শ্রমবাজারে গতি আসে। আগের চেয়ে এবারের অভিবাসন প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল হওয়ায় কর্মস্থলে সমস্যাও দেখা দিচ্ছে অনেক কম। এখন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীরা মূল বেতন পাচ্ছেন ১৫০০ রিঙ্গিত ও সঙ্গে যোগ হচ্ছে ওভারটাইম। সব মিলিয়ে কর্মীরা ৫০ হাজার টাকার মতো বেতন পাচ্ছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য শ্রমবাজারগুলোর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার যে নীতি গ্রহণ করেছে তারই সুফল মিলছে। অন্যদিকে এমপ্লয়মেন্ট পে-মডেলের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই কর্মসূচির আওতায় ২০০ কর্মীর ভিসার অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রথম দুই ব্যাচে বিনা খরচে কর্মীরা মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ বিনা খরচে অভিবাসন কর্মসূচির আওতায় কমপক্ষে ২ হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠানো সম্ভব হবে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সব সময়ই আগ্রহী বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এই বাজারে প্রবেশের জন্য এখনো কিছু অন্তরায় রয়েছে। দেশের জনশক্তি রপ্তানিকারকদের মতে, কর্মীরা যেহেতু সরাসরি প্রধান বিআরএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেয়ে সাব-এজেন্ট বা পরিচিতজনের মাধ্যমে প্রধান বিআরএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা নিরাপদ ও সাবলীল মনে করে, পাশাপাশি সরকারিভাবে এমন কোনো পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি যাতে কর্মীরা সরাসরি প্রধান বিআরএ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াটি এখনো মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে অভিবাসন ব্যয় কমানো সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। তাহলে অভিবাসন ব্যয় কমে আসবে।

সর্বশেষ খবর