রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়

ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়

হাজার হাজার বছর আগে বগুড়ায় গড়ে উঠেছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী পুণ্ড্রবর্ধন। যা পুণ্ড্ররনগরী হিসেবে পরিচিত পেয়ে যায়। কালের বিবর্তনে পুণ্ড্রনগরই এখন ঐতিহাসিক বগুড়ার মহাস্থানগড়। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছিল সে সময়ের সভ্য জনপদ। ১৫০০ সাল পর্যন্ত করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে গড়ে ওঠা এ মহাস্থানগড়ই ছিল তখনকার মানুষের রাজধানী। প্রসিদ্ধ এই নগরী ইতিহাসে পু-্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর নামেও পরিচিত ছিল। এ অঞ্চলে লোক আসত ব্যবসা-বাণিজ্য করতে। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন এবং আরও অনেক হিন্দু রাজারা এ অঞ্চলকে বানিয়ে ছিলেন তাদের প্রাদেশিক রাজধানী। ওই রাজধানীর ধ্বংসাবশেষের নিদর্শনগুলো যেখানে অক্ষত রয়ে গেছে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে আজকের মহাস্থানগড়। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে খ্রিস্টীয় ১৫ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মহাস্থানগড় এক সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে বিস্তার লাভ করে। বেশ কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এখানে অসংখ্য রাজা রাজত্ব করেন। এর ভিতর রয়েছে মৌর্য, গুপ্ত, সেন, পাল ও সামন্ত রাজবংশ। বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬৩৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পু-্রনগরে এসেছিলেন। ভ্রমণের ধারা বিবরণীতে তিনি তখনকার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার উল্লেখ করে বর্ণনা করেন। দশম শতকের মধ্যবর্তী সময়ে এখানে রাজত্ব করেন রাজা নরসিংহ বা পরশুরাম। কিংবদন্তি অনুযায়ী রাজা পরশুরাম ছিলেন অত্যাচারী। তাকে উচ্ছেদ করে ইসলাম ধর্মের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসেন হযরত শাহ সুলতান বলখি (রহ.) মাহী সওয়ার। ধর্ম প্রচারক শাহ সুলতান বলখি (রহ.) সম্পর্কে রয়েছে আশ্চর্য অনেক তথ্য। কালক্রমে বাংলার প্রথম রাজধানী ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংসাবশেষ নিয়ে আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে মহাস্থানগড়।

সর্বশেষ খবর