রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত নতুন এলাকা

কৃষকের আর্থিক প্রণোদনা আবশ্যক

এবার উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণের বেশির ভাগ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের অসহায় মানুষ। নতুন করে ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে প্রতিদিন তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। যমুনার পানি বাড়ায় কুড়িগ্রামে ভাঙনের শিকার দেড় শতাধিক বাড়িঘর। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জের ৪২ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নদীতীরের ফসলি জমি ও বসতভিটা। বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরামসহ অন্যান্য শাখা নদনদীর পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের বিস্তীর্ণ জমি। জেলার কয়েকটি উপজেলার ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বরিশালে বিপৎসীমার ৭২ ও ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত নিম্নাঞ্চলে গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সবজির খেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাজারে কাঁচা সবজি, মাছ ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় পাঠদান ব্যাহত হয়ে পড়েছে। রাস্তায় পানি ওঠায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আমন খেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসল হারানোর শঙ্কায় পড়েছে কৃষক। চরাঞ্চলের নিচু জমির তিল, কাউন, বাদাম, আখ ও সবজি খেত পানিতে ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে উঠতি পাট, আমনসহ নানা ধরনের ফসল। এসব এলাকার চাষাবাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষককে আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া অত্যাবশ্যক।

সর্বশেষ খবর