সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

উন্নয়নের অনুকরণীয় মডেল

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে প্রবেশ করেছে দেশের রাজধানী। শনিবার সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণার পাশাপাশি প্রথম যাত্রী হিসেবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে ভ্রমণ করেন। প্রথম টোলদাতা হিসেবেও স্মরণীয় করে রাখেন নিজেকে। প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্ধেকের বেশি অংশ শনিবার খুলে দেওয়া হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। খুলে দেওয়া সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ১০ মিনিটেই। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপেসওয়ের বিমানবন্দর-বনানী-তেজগাঁও সাধারণের যান চলাচল শুরু হয়েছে রবিবার ভোর ৬টা থেকে। নির্ধারিত টোল দিয়ে ব্যবহার করা যাবে এ উড়ালপথ। এতে যানজট থেকে রাজধানীবাসীর স্বস্তি মিলবে। প্রকল্পের পুরো অংশ কুতুবখালী পর্যন্ত চালু হবে আগামী বছরের জুনে। এর ফলে দেশের যোগাযোগ খাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন অনুভূত হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব তথা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এবং আগামী বছরের জুন ২০২৪ নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করতে লাগছে ১৩ বছর। প্রকল্প শুরুর প্রথম সাত বছরে কাজ এগোয়নি ১০ শতাংশও। থাইল্যান্ডভিত্তিক ইটাল-থাই ও চীনের সিনোহাইড্রোম এবং সিএসআই শেয়ার ভাগাভাগি করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করায় মূলত বাস্তবে রূপ নিল এ প্রকল্প। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা হলেও প্রকৃত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা। সময় ক্ষেপণ এবং নকশা পরিবর্তনের কারণে বেড়ে গেছে এর নির্মাণ ব্যয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বদৌলতে রাজধানীর যানজট একদিকে যেমন কমবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২০ কিলোমিটারের সড়ক ২০ মিনিটে পার হওয়ার সুযোগ মিলবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের এ প্রকল্পটি দেশের উন্নয়নের একটি অনুকরণীয় মডেল বলেও বিবেচিত হবে।

সর্বশেষ খবর