সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন

ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ কার্যকর হোক

রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা এক কথায় বিশাল। এর মধ্যে কিছু ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। যেগুলো যে কোনো সময় ট্র্যাজেডির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজধানীর জরাজীর্ণ ভবনগুলো যাতে বিপদ না ঘটায় তা নিশ্চিত করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আরবান রেজিলিয়ান্স প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর ৩ হাজার ৫৫২টি ভবনের ওপর জরিপ চালানো হয়। এর মধ্যে ৪২টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তিন মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপর ছয় মাস অতিবাহিত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ একটি ভবনও ভাঙেননি ভবন মালিকরা। সংস্থাটির পক্ষ থেকে ভবন অপসারণে কয়েকবার চিঠি দিলেও কর্ণপাত করা হয়নি। রাজউকের আওতাধীন এলাকার ভবনগুলোর ওপর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়ান্স প্রকল্পের আওতায় সরকারি হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন অধিদফতরের ভবনগুলোর ওপর জরিপ করা হয়। এর মধ্যে ২২৯টি ভবনের ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। তাতে ১৮৭টি ভবনকে রেট্রোফিটিং করার পরামর্শ দেয় রাজউক। আর ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলো ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ভবন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন, মাদরাসা বোর্ডের এক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে দুই দফা চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। তাই চরম ঝুঁকি নিয়েই কাজ চলছে হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিদফতরে। যেসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার জন্য আরবান রেজিলিয়ান্স প্রকল্পের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার সবকটিই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শত শত শিক্ষার্থীর পদচারণে প্রতিষ্ঠানগুলো সরব থাকে। কখনো বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে শত শত মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও ভবনগুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ না নেওয়া চরম দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক। যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। আমরা আশা করব জনস্বার্থে নির্দেশনাটির দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।

সর্বশেষ খবর