শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হোন

সরকারের নেওয়া সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম দুনিয়াজুড়ে প্রশংসা অর্জন করেছে। তবে সরিষার মধ্যে ভূত ঢোকায় এ মহতী কার্যক্রমের সুবিধাভোগীরা কাক্সিক্ষত সুফল ভোগ করতে পারছেন না। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের লাখ লাখ মানুষকে উপকৃত করার কর্মসূচি কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনৈতিক টাউটদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠী, বিধবা নারী ও প্রতিবন্ধীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতি বছর বাজেটে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখছে। সামাজিক সুরক্ষার এই প্রশংসিত কার্যক্রমে দুর্নীতি থাবা বিস্তার করায় পরিপূর্ণ সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপকারভোগীরা। ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওপেন সিক্রেট। রাজনৈতিক টাউটদের কারসাজিতে বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ও প্রতিবন্ধীদের সরকারের বরাদ্দ ভাতা পাওয়ার জন্য দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পছন্দের লোকদের ভাতা কার্ড দিচ্ছেন। ভাতার অনলাইন আবেদনের জন্য ভাতাভোগীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। স্বজনপ্রীতির কারণে ভাতার প্রকৃত উপকারভোগীরা আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তার মধ্যে আছে ভাতাভোগীদের তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম। স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাবশালী মহলের মানসিকতা হচ্ছে, তারা এ ধরনের কর্মসূচিকে নিজেদের সুবিধা অর্জনের উপায় হিসেবে দেখতে চান। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় সরকার ৫৮ লাখ ১ হাজার নারী পুরুষকে বয়স্ক ভাতা দিচ্ছে প্রতি মাসে ৬০০ টাকা করে। ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা মাসে ৫৫০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন। ২৯ লাখ প্রতিবন্ধী মাসে ৮৫০ এবং মা ও শিশু কর্মসূচির আওতায় উপকার ভোগ করছেন ১৩ লাখ ৪ হাজার জন। অর্থের অঙ্ক ক্ষুদ্র হলেও উপকারভোগী লাখ লাখ মানুষের টিকে থাকার ক্ষেত্রে এসব কর্মসূচি ভূমিকা রাখছে। এর সুফল যাতে পরিপূর্ণভাবে উপকারভোগীরা ভোগ করতে পারেন, তা নিশ্চিতকরণে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রশাসনের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ভূমিকাও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর