শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পর্যটন সম্ভাবনা

অবশেষে বাস্তবমুখী পথে হাঁটছে দেশ

বাংলাদেশ পর্যটনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ। তালেবান প্রভাবিত আফগানিস্তান ছাড়া পর্যটন থেকে বাংলাদেশের আয় সবচেয়ে কম। অথচ বাংলাদেশকে বলা হয় নদনদী ও সবুজ প্রকৃতির দেশ। এ দেশে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সেখানকার রয়েল বেঙ্গল টাইগার নামের বাঘ বিশ্বের ব্যাঘ্রপ্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সুন্দর। সুন্দরবনের চিত্রল হরিণের কোনো তুলনা নেই। বাংলাদেশের কক্সবাজারে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। এ দেশের হাওর-বাঁওড় ও নদনদীর শোভা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু পর্যটনবান্ধব পরিবেশের অভাবে পর্যটকরা এ দেশে সুখী হচ্ছে না। বিদ্যমান বৈপরীত্য অবস্থার অবস্থানে পর্যটনবান্ধব পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। পর্যটনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা আইল্যান্ড দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেই। কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালী ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে তিনটি ট্যুরিজম পার্ক। সেখানে বিদেশি পর্যটকদের জন্যও থাকবে সব সুযোগ-সুবিধা। থাকবে ব্যাংকক-পাতায়ার মতো নাইটলাইফ। এ ছাড়া কক্সবাজারেই সাগর ছুঁয়ে নির্মাণ হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সংবলিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আগামী মাসেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে শুধু কক্সবাজারেই লাখ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ছুটবে বলে আশা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর রাজধানী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দূরত্ব কমে যাওয়ায় সহজ হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণ। ফলে গত দুই বছরেই বাগেরহাটের মোংলা ও দাকোপে সুন্দরবন ঘেঁষে অন্তত ২৬টি রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলো পুরোদমে চালু হলে ও পর্যটকবান্ধব সেবা দিতে পারলে এই খাত থেকেই জিডিপির উল্লেখযোগ্য অংশ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষিত করা সম্ভব হলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। বিদেশি পর্যটকরা এক নতুন বাংলাদেশের সঙ্গে পরিচিত হবে। দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। সৃষ্টি হবে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর