সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মরক্কোর ভূমিকম্প

বিপুল প্রাণহানি মানবতার জন্য বিপর্যয়

আরব লিগের সদস্যভুক্ত আফ্রিকান দেশ মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ হারানোর ঘটনা দুনিয়াজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গভীর রাতের প্রচন্ড ওই ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ চাপা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ মরক্কোর অবস্থান ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায়। গভীর রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে অ্যাটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। এ এলাকার বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এর ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়। মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ মানুষ মারা গেছেন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়, যেখানে পৌঁছানো বেশ কঠিন। ভূমিকম্পে মারাক্কেশ শহরের পুরনো অংশেও কিছু ভবন ধসে পড়েছে। এটি ৬ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটিতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছের শহর মারাক্কেশের বাসিন্দারা খোলা জায়গায় রাত কাটাচ্ছেন। দেশটির পুরনো শহরের ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মরক্কোয় ভূমিকম্পে বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ও ঐতিহ্যমন্ডিত স্থাপনা ধ্বংসের শিকার হওয়া ভ্রাতৃপ্রতিম এ দেশটি শুধু নয়- মানব জাতির জন্য এক বিয়োগান্ত ঘটনা। ভূমিকম্প এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যে কোনো সময় দুর্যোগপ্রবণ যে কোনো এলাকায় হানা দিতে পারে ভূমিকম্প। মানব সভ্যতা অনেক এগোলেও ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ প্রতিরোধের কোনো সক্ষমতা এখনো অর্জন করেনি। মানুষ যা পারে তা হলো ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালিয়ে প্রাণহানি কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে। মরক্কোর ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাতে বহির্বিশ্বকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে, এটি মানবিক কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর