বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আদর্শবান রাজনীতিবিদ শংকর গোবিন্দ চৌধুরী

সৌরেন চক্রবর্ত্তী

আদর্শবান রাজনীতিবিদ শংকর গোবিন্দ চৌধুরী

শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বর্ণাঢ্যময় কর্মজীবনের অধিকারী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্রত ছিলেন। মানুষ হিসেবে তিনি মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্বের যে নিদর্শন রেখে গেছেন তা কখনই ভোলার নয়। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধীন-সার্বভৌম অস্তিত্ব, বাঙালির ভাষা, বাংলার মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীপ্ত চেতনা নিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ নিতে ১৯৫৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

উত্তরাঞ্চলীয় জনপদ নাটোরের সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতা ছিলেন শংকর গোবিন্দ চৌধুরী। নাটোরবাসীর আশা ও ভরসার জায়গা ছিলেন তিনি। প্রায় সবারই ‘শংকর কাকা’। বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট বাবা জ্ঞানদা গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন নাটোরের ভাবনীর প্রজাহিতৈষী জমিদার। শিক্ষিত ও সাংস্কৃতিক পরিবারে শংকর গোবিন্দ চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের ৪ মার্চ। তিনি নাটোর, বগুড়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং কলকাতায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। বিদ্যাসাগর কলেজে পড়ার সময়ই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু।

১৯৫৮ সালের আইয়ুব খানের সামরিক শাসন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের আইয়ুব-ইয়াহিয়া বিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সক্রিয়। রাজপথ থেকে সংসদ সবখানে তাঁর উপস্থিতি ছিল সরব। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার নিজে একজন সাধারণ কর্মীর মতো কাজ করেছেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার শাহাদাতবরণ-পরবর্তী শাসনামলে সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কোনো প্রলোভন বা হুমকি তাঁকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে পারেনি। ১৯৮১ সালে দুর্বৃত্তরা তাঁকে চলন্ত ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছিল হত্যার উদ্দেশ্যে। সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, তবে প্রচ- আঘাত পেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন দেশে ও দেশের বাইরে চিকিৎসা শেষে নাটোরে ফেরেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এক বছর কারাবরণ করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক কারণে অনেকবার কারাবরণ করেন। ১৯৬৯-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি একাধিকবার ঐতিহ্যবাহী নাটোর পৌরসভার (১৮৬৯ সালে সৃষ্ট) চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত স্নেহধন্য ও বিশ্বস্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে তিনি নাটোর সদর আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৭ নম্বর সেক্টরের জোনাল কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখানে অবস্থানরত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরামর্শ ও পরিকল্পনা করেন। শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরতদের বিভিন্নভাবে সহায়তা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান বিষয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তাঁর উপস্থিতিতে নাটোর রাজবাড়ী মাঠে পরাজিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন ব্রিগেডিয়ার নওয়াব আহমেদ আশরাফ এবং বিজয়ীদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার রঘুবীর সিং পান্নু। এ দলিল স্বাক্ষরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাটোরের আকাশ-বাতাস ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্যও ছিলেন শংকর গোবিন্দ চৌধুরী। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাঁকে নাটোর জেলার গভর্নর নিয়োগ করেন। উল্লেখ্য, গভর্নর নিয়োগ আদেশের সময় তিনি জার্মানিতে একটি প্রশিক্ষণে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুই পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বার্তা পেয়ে তাঁকে তাৎক্ষণিক রওনা দিয়ে নির্ধারিত তারিখে ঢাকায় এসে শপথ গ্রহণ করতে হয়। ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাটোর সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মনুষ্যত্ব, নীতি ও আদর্শের পথিক শংকর গোবিন্দ চৌধুরীকে কখনো কোনো ধরনের হুমকি বা প্রলোভন ছুঁতে পারেনি। তিনি আমৃত্যু লড়েছেন গণতন্ত্রের অগ্রসৈনিক হিসেবে এবং মানবসেবাকে জীবনের পরমব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নাটোর রানী ভবানী মহিলা কলেজের (বর্তমানে সরকারি মহিলা কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া নাটোর বনলতা হাইস্কুল, বড়গাছা হাইস্কুল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাইস্কুল, দিঘাপতিয়া বালিকা শিশুসদন (এতিমখানা)সহ নাটোরের ডায়াবেটিস হাসপাতাল, আধুনিক বাস টার্মিনাল, নাটোর সুগার মিল তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে। দিঘাপতিয়া রাজবাড়ীকে ‘উত্তরা গণভবন’ ঘোষণার সময়ই তিনি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন ঐতিহ্যবাহী নাটোর হবে উত্তরবঙ্গের রাজধানী। বঙ্গবন্ধু তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল নাটোর। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবরণের পর সব থমকে যায়। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তিনি কতটা নিষ্ঠাবান তা একটি ঘটনায়ই বোঝা যায়। এরশাদবিরোধী তুমুল গণ আন্দোলনের সময় ১৯৯০ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে তাঁর কনিষ্ঠা কন্যা রক্তিমার (শেলী) সঙ্গে আমার বিবাহের অনুষ্ঠানে তিনি কন্যাকে সম্প্রদান করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে বড় সংশয় ছিল। তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন কেননা সে সময় সান্ধ্য আইন জারি ছিল, নেতা-কর্মীদের ব্যাপকহারে ধরপাকড় করা হচ্ছিল। আমি কর্মস্থল মাগুরা থেকে চুয়াডাঙ্গা হয়ে; রেলপথে সান্তাহার হয়ে অনেক কষ্টে পুরো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে নওগাঁয় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছি। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ/কর্মীদের সহায়তায় বরযাত্রীসহ নওগাঁ থেকে বগুড়া হয়ে নাটোর পৌঁছি এবং রাতে থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই লগ্ন অনুযায়ী আমাদের শুভবিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে কন্যা সম্প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। তিনি রাষ্ট্রের আইনের প্রতি কীরূপ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তা দুটি উদাহরণেই বোঝা যায়। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক জমির সিলিং নির্ধারণের পরপরই তিনি ১০০ বিঘা জমি নিজে রেখে অনেক জমিজমা তাঁর এলাকার সাধারণ গরিব মানুষের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে দেন, যাতে তারা চাষবাস করে খেতে পারে। অবশিষ্ট জমি সরকার বরাবর সারেন্ডার করেন।

দ্বিতীয়, ১৯৯০ সালের ২৯ নভেম্বর কনিষ্ঠা কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য (নির্ধারিত জনের অতিরিক্ত) সরকারি ফি জমা দিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমতি গ্রহণ করেছিলেন। উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য থাকাকালে তিনি ট্যাক্স ফ্রি গাড়িও নেননি। নিজের কেনা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতেন।

১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে দেয়ালের পর দেয়াল। তার পরও তিনি পোস্টার লাগাবেন না। তাঁর কঠোর হুঁশিয়ারি ‘ছবি দিয়ে চেনাতে হবে শংকর গোবিন্দ চৌধুরীকে?’ ছবি দিয়ে তাঁকে চেনানোর প্রয়োজন হয়নি। অভিজাত পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আচার-ব্যবহার ছিল সাধারণের মতো। দলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে একজন আদর্শ নেতা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তিনি কখনো জাতিধর্মবর্ণকে মনুষ্যত্বের ঊর্ধ্বে স্থান দেননি। ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ এ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। কোনো গোঁড়ামি বা সংকীর্ণতা তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি। আজও তিনি নাটোরবাসীর কাছে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সমাজে আজ তাঁর মতো মানুষ বড়ই প্রয়োজন। দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে নিষ্ঠাবান এবং প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন একজন সদালাপী ও মার্জিত রুচিসম্পন্ন ব্যক্তি। আমৃত্যু তিনি কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবং নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যেতে চেয়েছিলেন। বারবার তা বলতেন। তাঁর প্রতিজ্ঞা ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ১৫ আগস্ট উনুন জ্বলবে না। তিনি দেখে যেতে পারেননি তবে সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। তাঁর আত্মা নিশ্চয় শান্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে তিনি ছিলেন মুজিব আদর্শের একনিষ্ঠ অনুরাগী।

তিনি দীর্ঘদিন থেকে নানান রোগে ভুগছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পরলোকগমন করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুহূর্তের মধ্যে কর্মচঞ্চল নাটোরসহ এতদঞ্চল হয়ে পড়ল নিস্তব্ধ। প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত নেতার মরদেহ ঢাকা থেকে আসবে বলে তাঁকে একনজর দেখার জন্য রাজপথে মানুষের ঢল নামে। নগরবাড়ী থেকে (তখনো বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হয়নি) নাটোর আসার পথে নগরবাড়ী, পাবনা, দাশুরিয়া, বড়াইগ্রাম, বনপাড়া, আহম্মেদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়াত নেতাকে একনজর দেখার জন্য মানুষ রাস্তায় ভিড় জমায়। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় প্রয়াত নেতাকে। নাটোর শহর প্রদক্ষিণ শেষে শহর থেকে নিজ গ্রাম ভাবনীতে, নিজ পিতৃভূমিতে জন্মভিটায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পৈতৃক ছাতনী শ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দেখেছি সে রাতে সমগ্র নাটোরের মানুষ রাস্তাঘাটে শুয়ে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি ও বিলাপ করছিল। সেই শোকের দৃশ্য ভোলার নয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মধ্যে বিরাজমান ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার সম্পর্ক। জননেত্রীর সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর জননেত্রী শেখ হাসিনা নাটোর গিয়ে তাঁর স্ত্রী অণিমা চৌধুরী (আমৃত্যু জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন)সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং নাটোরের কানাইখালী মাঠে বিশাল স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি নাটোরে তাঁর স্মরণে ‘শংকর গোবিন্দ চৌধুরী’ আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করেন। এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে তাঁকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর)’ প্রদান করেন; যা তাঁর পক্ষে কনিষ্ঠা কন্যা রক্তিমা চক্রবর্ত্তী (শেলী) গ্রহণ করেন। রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক বিভাগ ও জেলার সংযোগস্থল নাটোর বাইপাসে তাঁর স্মরণে নির্মিত ‘শংকর গোবিন্দ চৌধুরী চত্বর’-এ অবস্থিত তাঁর ম্যুরালটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির পিতার প্রতি, আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি- নাটোরের এই অবিসংবাদিত নেতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার জন্য।

[email protected]

 

লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব

ংধঁৎবহ.পযধশ@মসধরষ.পড়স

সর্বশেষ খবর