বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনন্য যৌথ বিবৃতি

বাংলাদেশের জন্য এক বড় অর্জন

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতি স্বাধীনতার প্রতি ফ্রান্সের শ্রদ্ধা ও সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। চলমান ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের এ সমর্থন তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে। যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁরা উভয়েই আশা করছেন বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের কৌশলগত পদক্ষেপ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ যে বন্ধনের সূচনা করেন তা ইতোমধ্যে নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। গত দেড় দশকে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, উন্নয়ন ও সুশাসনের ওপর ভিত্তি করে এই নতুন সম্পর্কের ভিত রচিত হয়েছে। ফ্রান্স সরকার জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির দর্শনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রগতিতে ব্যক্ত করা হয়েছে ফরাসি সরকারের আস্থা ও প্রশংসা। জিএসপি প্লাস প্রকল্পের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রেখে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ফ্রান্স। অবকাঠামো উন্নয়নে ফ্রান্স অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের কৌশলগত নিরাপত্তা অবকাঠামো নির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। ফরাসি প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে বন্ধুপ্রতিম দেশটি থেকে ১০টি নতুন এয়ারবাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার দুই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। ব্যতিক্রমধর্মী সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় নীতিতে বিশ্বাসী। সব দেশের সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার যে নীতি-কৌশল বাংলাদেশ অবলম্বন করছে তার প্রতি ফরাসি সমর্থনকে এক বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর