বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মশা মারতে ব্যর্থ তারা

জনগণের প্রতি দায় নিয়ে সংশয়

স্থানীয় সরকারকে বলা হয় জনগণের সরকার। তবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সেই অভিধা ধারণ করে কি না সংশয় দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গের ঘটনায়। এ মুহূর্তে সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। বলাই বাহুল্য, সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ঢাকা থেকে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সাড়ে সাত শর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। জ্বর হলেই তারা ছুটছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয়। কোটি কোটি টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় হচ্ছে

এ খাতে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে যৌক্তিক কারণেই বলা হয়েছে গাপ্পি মাছ, হাঁস, ব্যাঙ, ড্রোন নিয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মাঠে নামলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মশা। মশা ঠেকাতে বিটিআই এনে ঘটেছে কেলেঙ্কারি কান্ড। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মশা মারার সব পদ্ধতি ব্যর্থ করে দেড় লাখ লোককে আক্রান্ত করেছে এডিস মশা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যেসব পদ্ধতি প্রয়োগ করা দরকার তার কোনোটাই মানে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তাদের শুধু ফগিংয়ে আগ্রহ। কারণ তাতে অনেক টাকার ওষুধ কিনতে হয়। বিটিআই নিয়ে যা করা হয়েছে তা ভুল নয়, ক্রাইম। নিবন্ধিত কোম্পানির মাধ্যমে আমদানি হলে বিটিআইয়ের ওই প্যাকেটে কী আছে তা জানা যেত। কিন্তু সিটি করপোরেশন এমনভাবে দরপত্র আহ্বান করেছে, যাতে তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বিটিআই সরবরাহের কাজটি পায়। অন্য কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে বিটিআই আমদানি করলেও তারা যাতে অংশ নিতে না পারে, সেজন্য সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে আমদানির শর্ত দেওয়া হয় টেন্ডারে। স্বভাবতই অনুমান করা যায় সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা জড়িত না থাকলে বিটিআই কেলেঙ্কারি ঘটত না। আমরা এ কলামে বারবার বলেছি, মশা নিধনে লোক দেখানো কর্মসূচি নয়, এডিস মশার লার্ভা নিধনের পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নগরবাসীর প্রতি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দায় নিয়ে সংশয় থাকায় সংকট কমছে না।

আগে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর